সংযোজন ও ফোরজিতে রূপান্তরের ফলে ২০২৮ সাল নাগাদ ইউরোপের মোবাইল ডেটার ট্রাফিক দাঁড়াবে তিন গুণ। ফলে নেটওয়ার্ক বিনিয়োগে চাপ বাড়বে বলেছে টেলিকম শিল্পগোষ্ঠীর সংগঠন জিএসএমএ।
এক হাজারের বেশি মোবাইল ফোন অপরেটর এবং টেলিকম কোম্পানির সংগঠন জিএসএমএ বলেছে আরও উন্নতমানের গেইমিং, ভিআর বা এআর-এর মতো এক্সটেন্ডেড রিয়েলিটি প্রযুক্তি এবং ভিডিও কনটেন্টের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকেরা উচ্চ ব্যান্ডউইথের ফাইভজি’র প্রতি আকৃষ্ট হবে।
মোবাইল ফোন প্রতি মাসিক গড় ডেটা ট্রাফিক পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে ২০২২ সালে ছিলো ২০ গিগাবাইট (জিবি), যা ২০২৮ সাল নাগাদ ৫৬ জিবিতে ঠেকবে, সেইসঙ্গে মধ্য এবং পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর বেলায় একই সময়ে সেটি ১৪ জিবি থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৩৭ জিবিতে, বলেছে সংগঠনটির বার্ষিক মোবাইল অর্থনীতি প্রতিবেদনে।
ক্রমবর্ধমান চাহিদা বৃদ্ধির অর্থ টেলিকম অপারেটরদের মোবাইল নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ অব্যহত রাখতে হবে, এবং ২০৩০ সাল নাগাদ নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ব্যয় করতে হবে আনুমানিক ২১ হাজার ছয়শ কোটি ডলার, বলেছে প্রতিবেদনটিতে।
অরেঞ্জ, টেলিফোনিকা এবং টেলিকম ইতালিয়াসহ ইউরোপীয় টেলিকম কোম্পানিগুলো ফাইভজি এবং ব্রডব্যান্ড প্রযুক্তি বিস্তারে অর্থ যোগান দিতে অ্যালফাবেট, মেটা, নেটফ্লিক্স, মাইক্রোসফট এবং অ্যামাজনের মতো বিগটেকগুলোকে গত কয়েকবছর ধরে চাপ দিচ্ছে। কারণ, ইন্টারনেট ট্রাফিকের একটা বড় অংশ এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে ব্যয় হয়।
এ বিষয়ে নীতিমালা প্রবর্তন করতে ইউরোপীয় কমিশনের লেগে যাবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত, অবগত সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে। ফলে সে দাবির সুরাহার জন্যও ইউরোপের টেলিকম কোম্পানিগুলোকে অপেক্ষা করতে হবে।
“একত্রীকরণ, স্পেকট্রাম হারমোনাইজেশন এবং অবকাঠামোর জন্য ন্যায্য বিনিয়োগ কাঠামোর মতো বিষয়গুলোর নীতিমালায় সম্ভাব্য পরিবর্তন করতে বিদ্যমান বাস্তব চিত্র খতিয়ে দেখছেন ইউরোপের নীতিনির্ধারকেরা; এতে আমরা আনন্দিত।” একটি বিবৃতিতে বলেন জিএসএমএ এর ইউরোপীয় প্রধান ড্যানিয়েল প্যাটাক।
২০২২ সালে ইউরোপের ৪৬ কোটি মানুষ বা জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ মোবাইল ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলো, জানিয়েছে জিএসএমএ।
ঠিকানা/এসআর