ক্ষমতায় ফিরে এসে যুক্তরাষ্ট্রে যারা অবৈধভাবে বসবাস করছেন তাদের গ্রেপ্তার করার আগাম হুমকি দিচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকী পারিবারিক কোটায় ভিসা সংকোচন নীতি গ্রহণ করবেন তিনি। ২০২৪ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে আবারো অধিষ্ঠিত হতে পারলে ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন বিরোধী আরো অনেক কঠোর পদক্ষেপ নেবেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভবিষ্যত অভিবাসন নীতির আলোকে গত ১১ নভেম্বর শনিবার নিউইয়র্ক টাইমস তাদের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাগজপত্রহীনদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার এবং নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া চলাকালিন ঐসব কাগজপত্রহীন অভিবাসীকে দুর্গম এলাকার কারাগারে আটক রাখা হবে। সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করা হবে। একইসাথে পারিবারিক কোটা এবং দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশিদের ভিসা একেবারেই সংকুচিত করা হবে।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, প্রথম টার্মের ন্যায় আবারো মুসলিম বিশ্বের নাগরিকদের ভিসা-বিরোধী নির্বাহী আদেশ জারি করতে কালক্ষেপণ করবেন না। ইতিমধ্যেই যারা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা কিংবা রিফ্যুজি হিসেবে বসবাসের আবেদন করেছে-সে সব মুসলমানের আবেদন নাকচ করে সরাসরি নিজ দেশে পাঠানোর পদক্ষেপ নেবেন।
সোয়া কোটির অধিক অবৈধ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন ১৬/১৭ বছরের অধিক সময় যাবত সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে, এর সঙ্গে গত তিন বছরে যোগ হয়েছে আরো ২০/২২ লাখ বিদেশি। অর্থাৎ যারা ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া বসবাস করছে-তাদের গ্রেফতার ও দ্রুত বহিষ্কারের জন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরিকল্পনাও রয়েছে ট্রাম্পের। এজন্য তিনি অভিবাসন দফতরে প্রয়োজনসংখ্যক এজেন্ট নিয়োগ করবেন। প্রয়োজনে ন্যাশনাল গার্ডকে গ্রেফতারের দায়িত্ব দেবেন। ট্রাম্পের ধারণা, কাগজপত্রহীনরা সমাজ ও রাষ্ট্রের শত্রু এবং এদেরকে বহিষ্কার করা হলেই নতুন করে কেউ আসতে চাইবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে নিউইয়র্ক টাইমস উদ্বেগজনক এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।