পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ার কুরাম জেলায় ডোগার এলাকায় চালানো এক সামরিক অভিযানে একজন ক্যাপ্টেনসহ ছয়জন পাকিস্তানি সেনা শহীদ হয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যকর পাল্টা-আক্রমণে সাতজন সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর)। খবর ডনের।
গতকাল ২৮ অক্টোবর (বুধবার) দেওয়া আইএসপিআরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নিষিদ্ধঘোষিত তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সহযোগী ‘ফিতনা আল খাওয়ারেজ’ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, নিজস্ব সৈন্যদের দক্ষ মোকাবিলায় ভারত-সমর্থিত সাতজন খাওয়ারেজকে (সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য) জাহান্নামে পাঠানো হয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধে শহীদ হওয়া ছয় সেনার মধ্যে ছিলেন- তরুণ মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন নোমান সালিম (২৪, মিয়ানওয়ালির বাসিন্দা)। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি চিকিৎসার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করে তার পাঁচ সহকর্মীর সঙ্গে শাহাদাতবরণ করেন। শহীদ অন্যান্য সেনা সদস্যরা হলেন- হাবিলদার আমজাদ আলী (৩৯), নায়ক ওয়াকাস আহমদ (৩৬), সিপাহী আইজাজ আলী (২৩), সিপাহী মুহাম্মদ ওয়ালিদ (২৩) ও সিপাহী মুহাম্মদ শাহবাজ (৩২)।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এলাকায় লুকিয়ে থাকা অন্য কোনো ‘ভারত-সমর্থিত খারজি’ নির্মূল করতে অপারেশন চালানো হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ‘আজম ই ইস্তেহকাম’ ভিশনের অধীনে বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের এই অভিযান পূর্ণ গতিতে চালিয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, বিশেষত পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানে সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসী হামলা অনেক বেড়েছে। ২০২২ সালে সরকারের সঙ্গে টিটিপি যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করার পর এই হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
ঠিকানা/এএস


ঠিকানা অনলাইন


