অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা যেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সে ব্যবস্থা নিতে বলেছে গণঅধিকার পরিষদ। তারা বলেছে, এ জন্য নতুন বিধান করতে হবে। ২৯ অক্টোবর (বুধবার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এদিন নুরের নেতৃত্বে দলের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন। এ সময় নয় দফা লিখিত দাবিনামা তুলে ধরেন তারা।
অন্তর্বর্তী সরকারে ছাত্র আন্দোলন থেকে ওঠে আসা উপদেষ্টারা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে নুরুল হক নুর বলেন, ‘আগে নিয়ম ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। আর এটা আমাদেরও দলীয় অবস্থান। বর্তমান সরকারের কেউ যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন- সে ব্যবস্থা নিতে আমরা কমিশনকে বলেছি।’
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলসহ ফ্যাসিস্টের সহযোগী কেউ যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে, সে ব্যবস্থাও নিতে ইসিকে বলেছি। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টিকেও বিচারের আওতায় যাতে আনা হয়, সেটাও বলেছি।
জোটে গেলেও দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে করতে হবে’- ইসির সংশোধিত আরপিওর এমন বিধান বিষয়ে দলীয় অবস্থান তুলে ধরে গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, এই বিধানকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখি।
এ সময় দলটির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ফারুক হাসান বলেন, আগামী নির্বাচনে উপদেষ্টা পরিষদের কেউ যেন ভোটে অংশ নিতে না পারেন- সে বিধান করার জন্য আমরা ইসিকে বলেছি।
গণঅধিকার পরিষদের নয় দাবি: ইসিতে তুলে ধরা গণঅধিকার পরিষদের নয় দফা দাবিতে রয়েছে, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটদান নিশ্চিত করা; রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি সংশ্লিষ্টদের রিটার্নিং অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে না রাখা; প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা, কেন্দ্রের বাইরে একটি জায়ান্ট স্ক্রিণে জনসাধারণের জন্য কেন্দ্রের ভেতরের ভোট কার্যক্রম ও ভোট গণনা পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ব্যালটবাক্স উপজেলাতে পাঠানোর সময় ও ভোটকেন্দ্র থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আসা পর্যন্ত সার্বক্ষণিক প্রার্থীদের এজেন্টদের সাথে রাখা।
দাবিতে আরও রয়েছে- ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করাসহ কেন্দ্র দখল ও কালো ভোটের অভিযোগ থাকলে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা; কোনো প্রার্থীর সমর্থকরা অন্য প্রার্থীর সমর্থকদের নির্বাচনী কাজে বাধা প্রদান ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করলে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ; বিগত তিনটি (২০১৪, ২০১৮, ২০২৪) নির্বাচনে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছেন, এমন কোনো কর্মকর্তাকে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা; বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না, এমন বিধান যুক্ত করা এবং নির্বাচনের তপশিলের পর প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো।
ঠিকানা/এএস


ঠিকানা অনলাইন


