শুধু হুংকার দিয়েই থামেননি, আজ বড় সংগ্রহের নেতৃত্বও দিলেন লিটন দাস। সিরিজ শুরুর আগে ২০০-২৫০ রানের কথা বলেছিলেন তিনি। তবে বড় সংগ্রহে নেতৃত্ব দিলেও ম্যাচের ফলটা পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের অধিনায়কের। বৃষ্টির কারণে যে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।
তবে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করলেও স্কোরটা আর ২০০ হয়নি বাংলাদেশের। বেরসিক বৃষ্টি পরে তার কাছাকাছি যাওয়ারও সুযোগ দেয়নি। পরিত্যক্ত হওয়ার আগে বাংলাদেশের ইনিংস ১৮.২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৪ রানে থেমেছে। এর মধ্যে ওপেনিংয়ে ৭৩ রান করেছেন লিটন।
শুরুর ৪ ওভারে যখন ১ উইকেটে ৫৬ রান তোলে বাংলাদেশ, তখন মনে করা হচ্ছিল উইকেটরক্ষক ব্যাটারের কথাই যেন আজ সত্যি হতে যাচ্ছে। কিন্তু মাঝে ফ্লাডলাইট আর বেরসিক বৃষ্টির কারণে কিছু সময়ের জন্য ম্যাচ বন্ধ থাকলে চিত্র যায় পাল্টে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেটে তাওহিদ হৃদয় এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারীর সঙ্গে লিটন দুটি পয়ত্রিশোর্ধ্ব জুটি গড়লেন ওয়ানডে স্টাইলে। ফলে শুরুর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের মতো রানটা সমানতালে ওঠেনি।
মাঝে শামীম ও দুবার ‘জীবন’ পাওয়া লিটন দলীয় এক রানের ব্যবধানে দুজনই আউট হলে রানের চাকা দমে যায়। তবে পঞ্চম উইকেটে ২৩ বলে ৪২ রানের জুটি গড়ে দুই শ রানের কাছাকাছি সংগ্রহের পথ দেখান নুরুল হাসান সোহান ও জাকের আলি অনিক। কিন্তু ১৮.২ ওভারের সময় আবার বৃষ্টি নামায় ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বেরসিক বৃষ্টি ম্যাচকেই পণ্ড করে দিয়েছে। ২২ রান করা সোহানের সঙ্গে পরে ২০ রানে অপরাজিত থাকা জাকেরেরও আর ব্যাটিংয়ে নামা হয়নি।
ডাচদের হোয়াইটওয়াশের সুযোগটা তাই হাতছাড়া হয়ে গেল। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ২-০ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করেছে লিটনের দল।
সোহান-জাকেরের ঝোড়ো জুটির আগে লিটনই ৪ উইকেটে ১৬৪ রানের সুরটা বেঁধে দিয়েছেন। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ১৫৮.৬৯ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি সাজান ৬ চার ও ৪ ছক্কায়। এই ফিফটিতে একটা রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে এখন টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ১৪ ফিফটির মালিক তিনি। তাতে পেছনে পড়ে গেছেন ১৩ ফিফটি করা সাকিব আল হাসান।
অন্যদিকে ছক্কার তালিকায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পাশে বসেছেন লিটন। টি-টোয়েন্টিতে দুজনের ছক্কা এখন ৭৭টি। তবে ম্যাচের সংখ্যায় দ্রুততম বাংলাদেশের অধিনায়ক। তার ১১০ ম্যাচের বিপরীতে সাবেক অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ১৪১টি। সিরিজ-সেরা হয়েছেন লিটন দাস।
ঠিকানা/এনআই