Thikana News
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভারতের ক্রিকেট প্রশাসনে নতুন ইতিহাস

ভারতের ক্রিকেট প্রশাসনে নতুন ইতিহাস ছবি : সংগৃহীত

ভারতের ক্রিকেট প্রশাসনে নতুন ইতিহাস গড়লেন মহানার্যমান সিন্ধিয়া। মাত্র ২৯ বছর বয়সেই মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমপিসিএ) সভাপতি নির্বাচিত হলেন তিনি।

 

যদিও ক্রিকেট প্রশাসক হিসাবে মহানার্যমান সিন্ধিয়ার হাতেখড়ি তিন বছর আগে। ২০২২ সালে গ্বালিয়র ডিভিশন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ২০২৪ সালে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্যপদ পান। সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার আগেই তার উদ্যোগে এ বছর থেকে শুরু হয়েছে মধ্যপ্রদেশ টি-টোয়েন্টি লিগ।

 

১৯৫৭ সালের পর এত কম বয়সে আর কেউ ভারতীয় ক্রিকেটে এত গুরুত্বপূর্ণ পদে আসেননি। 

নির্বাচনের পেছনে অবশ্য রাজনৈতিক ও পারিবারিক যোগও আছে। ইন্দোরে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন তার পিতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া যিনি ভারতের কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী এবং বহু বছর ধরে এই অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে থাকা পরিচিত নাম। তার দাদা ছিলেন প্রভাবশালী নেতা মাধবরাও সিন্ধিয়া যিনি প্রথমবারের মতো রাজ্যের ক্রিকেট ইতিহাসে ‘সিন্ধিয়া’ নামটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। 

তবে শুধু পারিবারিক পরিচয় নয়। ব্যক্তিগত যোগ্যতাও আলাদা করে নজর কাড়ছে মহানার্যমানের। 

 

২০১৯ সালে আমেরিকার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি নেন তিনি। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও পড়েছেন। চাকরি করেছেন বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপে এবং আন্ডারসাউন্ড এন্টারটেনমেন্ট ও জয় বিলাস প্যালেসে ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। পাশাপাশি ২০২২ সালে নিজের ব্যবসা শুরু করেন।

 

রাজপরিবারের ঐশ্বর্যের মধ্যে বড় হলেও নিজস্ব পরিচয়ে নিজেকে পরিচিত করতে শুরু থেকেই সচেষ্ট ছিলেন তিনি । বিদেশি শিক্ষা, করপোরেট ও ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতার পর এবার দায়িত্ব নিলেন ক্রিকেট প্রশাসনের। দাদার পথ ধরে নতুন এক অধ্যায়ের পথ চলতে শুরু করলেন মহানার্যমান সিন্ধিয়া। 

 

পরিবারের সঙ্গে গ্বালিয়রের জয় বিলাস প্যালেসেই থাকেন মহানার্যমান। ১৫ একর জায়গার উপর তৈরি ৪ হাজার কোটি টাকার রাজপ্রাসাদে। ৪০০টি ঘরের ফরাসি এবং পার্সি স্থাপত্যের প্রাসাদে ব্যবহার করা হয়েছে ৫৬০ কেজি সোনা। প্রাসাদে রয়েছে রুপোর রথ। ডাইনিং হলে এখনো ব্যবহার হয় রুপোর ট্রেন।


ঠিকানা/এএস 


কমেন্ট বক্স