একদিন হঠাৎ করেই জানলাম,
হাতে আঙুলের স্পর্শে অক্ষরের পর অক্ষর বসিয়ে-
তৈরি হয়ে যায় প্রতিবাদের বিপ্লব।
শত সহস্র বছরের জমানো নীল অভিমানের
বুদবুদগুলো, পরতের পর পরত জমাট বেঁধে-
জীবন্ত কষ্টগুলো নীরবে নিভৃতে
কেঁদে একাকার হয় যুগের পর শতাব্দী।
এন্টার্কটিকার গভীর তলদেশ ছুঁয়ে
ব্যাপ্তির বাইরে ভাসমান স্ফটিক
অসহ্য সুন্দর আইসবার্গের চাকতাই
ভেঙে টুকরো হয়ে যায় এক লহমায়
এবং তখন যেন একতরফা ইচ্ছের কাছে
আত্মার ব্যবচ্ছেদ হয়ে যায় সবার অলখেই।
হৃদয়ের গোপন কষ্টের নিঃসৃত রক্তকণিকা
লাল থেকে গাঢ়তর খয়েরি বিলাপ,
বহু যুগের ক্ষরণের নিঃসরণের রেত
নিবের অগ্রবিন্দু ছুঁয়ে;
ধীরলয়ে নেমে যায় যেন
বুনো জলের দিঘি হয়ে।
এবং;
সেখানেই তোমার প্রবল আপত্তি!
তোমার ভয়ে তলপেটের স্পাজমে
তীব্র ব্যথায় শ্বাস-প্রশ্বাসে
আমাকে ভাবায় বিলোল বেদনায়।
বিশ্বাসের বাক্সবন্দী সব পাখিরা
এক লহমায় উড়ে যেতে চায়
তোমার কুঁড়ের চাতাল ছেড়ে,
অবজ্ঞায় ছড়ানো খুদ কুঁড়ো,
একচিলতে ছাউনিও ছেড়ে।
ইতিহাসের পাতা খুলিনি এখনো আমি
যদি কখনো খুলেই বসি সাঁঝ বিকেলে
মরচে ধরা তরঙ্গখানি!
সামলে নিতে পারবে তো যুগের কাছে?
অভুক্ত দায়ের শরীরখানা
পেটের ক্ষুধা, ঘর হারানোয় দিশেহারা,
এক রত্তি আত্মার স্পর্শ ছুঁয়ে যাবার!
নিদেনপক্ষে হারাবার বাসনায়
বাহানায়, কামনায়, যাতনায়, ক্রন্দসী রাত
বিদীর্ণ ভাবনায় পরিত্যাজ্য নারীত্বের
বিপুল সমাবেশের কী এক আয়োজন!
সাজিয়েছ নিজস্ব ভাবনায়,
অতঃপর-থেমে গেল এই পথচলা।
এবং প্রথম প্রকাশের দিন
চিরতরে বন্ধ হলো প্রতিশ্রুতির দুয়ার।