আমি তো আমায় দেখি অপার বিস্ময়ে
লাশকাটা ঘরের নোংরা টেবিলে
থেঁতলানো রক্তাক্ত নীলাভ ব্যথায়
কতটা অযত্নে ঘৃণায়
এলোমেলো হয়ে পড়ে থাকতে।
ভনভন করে মাছিরা স্পর্শ করে যায়
ঠোঁটের ভাঁজে, চিবুকের কোণের গভীরে
নীলে ক্ষতের কষ্টের ভূমিতে।
অপলকে তাকায় গভীর করে
নির্বাক নিথর কাকচক্ষু জলের গভীরে।
আমায় খুঁজে পাই মর্গের পচা দুর্গন্ধের
আরকে মোড়ানো অসহ্য চিৎকারে,
দেহের পরতে পরতে দ্বিতীয় মৃত্যুর ঘ্রাণ
দলিত মথিত ধুলোয় চিকচিকে শরীরটা
ঘুমুচ্ছে নিথর ক্লান্ত-শ্রান্ত চৈত্রের ক্ষয়ে যাওয়া
তামাটে চাঁদপানা কিশোরীর মুখখানা।
আঠারো বাই চব্বিশের গুমোট ঘরে
পলেস্তারারা দাঁত খিঁচানোর প্রতিযোগিতায়
নেমে গেছে ছাদ থেকে শীতল মেঝেতে
জানালার ভাঙা কাচের জং পড়া গ্রিলে,
ঘিনঘিনে আঠালো মাকড়সার জালে,
আটকে আছে সহস্র আত্মার আর্তনাদ।
উলঙ্গ দেহে কাঁচি ছুরি চলে নিষ্ঠুর নির্মমতায় অনুসন্ধানী অভিযান,
নয় জোড়া চোখের সুতীব্র চাহনি
ভেদ করে যায় অঙ্গ-প্রতঙ্গের অনুচ্ছেদে
আমি করুণ কোমল প্রেমে পড়ার
ছলেই বুঝে যাই পৃথিবীর ছলাকলা!
আর হয়তো-বা কতটা নিষ্পাপ
নির্ভেজাল আত্মসমর্পণে
এক ঢোঁক বিশ্বাস গিলেছিলাম নির্দ্বিধায়।