ভেনাসে তোমার কত দিন?
আমি তোমাকে খুঁজে চলি আজীবন
নদী সাগর জল মাটি আকাশসীমায়।
তুমি আমার কবিতা ক্রিটিক জানো তো!
তোমাকে যেদিন প্রথম দেখি
সেদিনই বন্দী দু’চোখ চোখের ভেতর।
জলের আয়নায় মাজতে মুখ।
বুকের ভেতর জমে সুখজলেও তুমি।
হাঁটার পথে চলার রথে দেখি ডালিম ফুল।
দেখি হাসছ তুমি দুলিয়ে কানের দুল।
ভ্রমর কটি জুটছে তাতে গুনগুন।
বলি থাম কাঁপাসনে ঐ বসুন্ধরা।
আছি আমি তার জন্য ঠিক খাড়া।
মহুয়া মাতাল বনজুড়ে রসের ধারা
সে যে আমার বসরাই গোলাপ
ঝিম দুপুরে করিস না আর এমন তাড়া।
শুচিশুভ্র রঙের দ্যুতি আঁচলে কুন্দন।
উড়াল ডানার চোখে আঁকা অঞ্জন।
ওসব শুধু আমার জন্য সোহাগ চন্দন।
দেখি আবার জলের গীতে জলের নহর।
প্রসাদে কে এমন সাজে? আইরিন?
নাহ আর বুঝি না কেমন খেলা খেলছ তুমি?
আামাকে নিয়ে সারা বেলা। রৌদ্র খোলা
হাওয়ার ভেতর কাটছ সাঁতার?
বসন্তে যে বাঁশি বাজে ফুলকলিতে দোল
কলির কথা হয় না বলা ফুলের কথা জানি।
এই ফাগুনে আসবে তুমি রাঙিয়ে দিতে মন।
তাই বুঝি মন উদাস এখন তন্দ্রাহীন চোখ।
ঘুমের ভেতর স্বপ্নকাঠি নাড়ছ অবিরত।
আকাশ বুকে আইরিন ভাসে মেঘের পালকে।
দু’নয়নে গভীর সুখে জীয়ন ছোঁয়া নিয়ে
এসরাজে সুর মন্দিরায় তাল কেশের অতলে।
মেঘরাশি বৈশাখের আমের বনে পলাশে শিমুলে
উতল হাওয়ার বান ভেসে যায় মেঘের আলিঙ্গনে।
দেখি তুমি ঝুলিয়ে চামর গোলাপি পাখার
রঙের মিছিল তুলছ কেমন রাঙা অধরে।
আর যেয়ো না দূরে সরে? মন পুড়ে। আইরিন।
থাকলে পাশে তুমি বাজে সুখের বীণ
লিখেছি শতেক চিঠি তোমায় অভ্রনীলে
তাই বুঝি এলে ফিরে বসলে চোখের নীলে?