এখন আমি মানুষের ভিতর মানুষ খুঁজি,
আমাদের বিবেক এবং চেতনার শরীরে-
জাপ্টাজাপ্টি করে শুয়ে আছে অলীক বন্ধ্যত্ব;
রৌদ্রের গন্ধ লেপ্টে আছে সর্বাঙ্গ জুড়ে,
মানুষের পোড়া মুখ, চিতার ভস্ম হাড়গোড়;
ব্যঙ্গ সভ্যতার উপেক্ষিত উপহাস বীজতত্ব।
অনেকদিন আমি মানুষ দেখি না,
হাত-পা খুবলানো কঙ্কালের বিগলিত লাশ-
আমাকে ভৎসনা করে মনুষত্বের দোহাই তুলে;
আমি হ্যাঁচকা টানে খুলে ফেলি জড়-বিষাদের সকল আভরণ,
হাড়-জিরজিরে শরীর বেরিয়ে আসে প্রাগ ঐতিহাসিক ফসিল;
আমি অট্টহাসিতে ফেটে পড়ি মানুষ দেখার ভুলে!
এখন আমি আর মানুষ খুঁজিনা,
চারিদিকে অমানুষের ভিড়ে আমাকে খুঁজি-
বদলে যাওয়া আমিও মিশে থাকা-ঝাঁকের-কৈ;
বেচা-কেনার হাটে সস্তায় বিকোয়,
বিবেক, বুদ্ধিহীন মূক-বধির জড়বস্তু এক;
এখন আমরা কেউ আর মানুষ নই।