টলমলে জলের নিঃসঙ্গ দিঘিটা
নীরব নিভৃতে অপেক্ষায় কেবলই কাঁদে,
কান্তির ফাঁকেই এক বিদগ্ধ প্রজাপতি
উড়ে যায় কেবলই শূন্যতায়,
হেথায় সেথায় স্বস্তির নিঃশ্বাসের আশায়।
পুড়ে যাওয়া মন চোখের আগল খুলে
থেমে যায় স্বীয় প্রতিবিম্ব দেখে।
তিরতিরে সেই জলের ভেতর
আবছায়া ওই ক্রন্দিত নয়ন!
আহা! কী অপরিসীম বেদনা বিলাপ!
এলোকেশীর সোনালি তনুখানি
আলুথালু বসন আর নিষ্প্রভ মুখশ্রীখানায়
অবেলায় চলে যাবার সুতীব্র বাসনায়,
হয়তো-বা আনমনে নূপুর জড়ানো
এলোমেলো পায়ে পরাজিত ছন্দের
বেসুরো আলাপের সমর্পণে,
নেমে গিয়েছে গভীর স্ফটিক জলে।
সরষে ফুলের চাঁপা রং
এলোমেলো মেঘবরণ এলোকেশ
ভাসমান যেন উত্তরীয় নুয়ে পড়া মেঘপুঞ্জ,
হাত-পা ছড়িয়ে বসে আছে নির্লিপ্ত হয়ে
থইথই সবুজ শান্ত কাকচক্ষু জলের ভেতর।
মনের কফিনে কর্পূর লোবানের
সুতীব্র গন্ধের সুবাস ছিটিয়ে
শঙ্খলিত বসনের, নিমিলীত মায়াবী নারী
শান্ত স্নিগ্ধ ধীর পায়ে-নেমে আসন পেতে
শ্রান্তিহীন জীবনের পরিসমাপ্তিতে পরিতৃপ্ত
চঞ্চল প্রজাপতির স্বপ্রণোদিত আত্মহনন।