জীবনের উপন্যাসের পাতায়
শুধু ঐ একটি মুখই দেখেছি,
তার নামেই সিঁদুর চন্দন
তুলেছি সিঁথিতে উলুধ্বনি তুলে।
শাঁখা, পলা আর নোরাগাছি
রেশমি চুড়ির রিনিক ছন্দে
ঠাঁই পেয়েছিল পেলব দু’ হাতে।
আলতায় বেঁধেছিলাম নূপুরের ঝংকারে,
বিভোর হয়ে স্বপ্নালু আনমনায়।
লক্ষ্মীর আনত নয়নের গভীর চাহনি
তিরতিরে ভীরু লাজুক রাঙা প্রেমে,
লাল চেলির অবগুণ্ঠনের আড়ালে
ধীর পায়ে হেঁটে যায় ছাদনাতলায়।
মাটির কলসে জড়াজড়ি করে আম পাতারা
তপস্যায় বসে জীবনের সুর একান্তে পাবার!
তেল সিঁদুরের তিলক্রে মাঝে
চর্চিত চন্দনের সুগন্ধি ফোঁটায়,
ঐ মুখের আদলের আয়নার ঘরে
হয়েছিল শুভ দৃষ্টি আনত নয়নে।
আজ আমি তোমার অভ্যাসের সকাল
যেন আমি তোমার এক কাপ রংবিহীন চা
আকাশমুখী চাতকের প্রচণ্ড তেষ্টা,
শুধু বেঁচে থাকার বাসনায়,
সে কেবল এক ফোঁটা জলের আশায়।
অলস দুপুরের মন-খারাপের গল্পের পাতায়
আমার মৃন্ময়ী ইচ্ছের আড়ালের ক্রন্দন
অঙ্গনে এলোমেলো হয়ে তোমার অনাদরে
ধুলোয় মিশে যাওয়া আমার পুজোর নৈবর্ত্য,
অভ্যাসের দিনলিপির ছেঁড়া পাতায়
আঁকিবুঁকি করি নিজেকে বিসর্জিত করে,
গৃহহীনা লক্ষ্মীর ব্যথার পাণ্ডুলিপি
লাল নীল বেগুনির নির্যাসের মিশ্রিত রং।
পুজোর বেদিতে নৈবদ্য তুলে দিয়ে
হয়েছি অস্পশ্যা দলিতের সংস্খলন
তোমার নিপুণ অবহেলার অহংকারে!