Thikana News
২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যদি এমন হতো!

যদি এমন হতো!
ওকলাহোমার রাজ্য সিনেটর রেজিনা গুডউইনকে হাতকড়া লাগিয়েছিলেন রাস্তায় টহলদার ডেপুটি শেরিফ ফ্রেডি অ্যালনিজ। সিনেটর রেজিনা গুডউইনকে দুটি স্টপ লাইনে না থামার কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থামান ডেপুটি শেরিফ। ওই জনপ্রতিনিধির ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চাইলে তা না দেখিয়ে তর্ক-বিতর্ক করায় তাকে হাতকড়া পরান ডেপুটি শেরিফ। খবরটি ছাপা হয়েছে ঠিকানার ২৯ জানুয়ারি সংখ্যায় ৭০ নম্বর পৃষ্ঠায় বেশ গুরুত্বের সঙ্গে।
রেজিনা গুডউইন একজন আইনপ্রণেতা। তিনি যদি আইন ভঙ্গ করেন, তাহলে আইনের সুরক্ষা হবে কেমন করে। সেই সঙ্গে আইনের চোখে যে সবাই সমান, সেটাও প্রমাণ করা। স্টেট সিনেটর শুধু কেন, আইনের বরখেলাপ করে কেউ যে রেহাই পায় না এবং কারও যে পাওয়া উচিত নয়, সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এ দেশে স্পিডিং করে মদ্যপান করে গাড়ি চালিয়ে প্রেসিডেন্ট-কন্যা বা প্রেসিডেন্টের সন্তানেরাও যে পার পায় না, এটা তারই প্রমাণ। এমনকি প্রেসিডেন্টরাও যদি কোনো অনৈতিক কাজ করেন, তারাও পার পান না। প্রেসিডেন্ট, গভর্নররাও কোনো অন্যায়, অনৈতিক কাজ করলে এবং সেটা যদি আইনের চোখে আসে, তবে সেই অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হয়।
এমন যদি বাংলাদেশে হতো, তবে দেশটা আরও কত সুন্দরই না হতো! বাংলাদেশে ক্ষমতাবান কেউ, এমনকি ক্ষমতাসীন দলের একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের কোনো নেতা হলেও কত-না দাপট তাদের। নিয়মভঙ্গ করে উল্টো রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে ক্ষমতা প্রদর্শনের অহমিকায়, প্রকাশ্য দিবালোকে তারা পুলিশকে চড়-থাপ্পড় দিতেও লজ্জাবোধ করেন না। তারা দম্ভ দেখিয়ে রাস্তার উল্টো পাশে গাড়ি চালিয়ে যান, কারও কিছু বলার সাধ্য নেই। রাতের বেলা বিনা লাইটে গাড়ি চালিয়ে গেলেও কেউ কিছু বলার থাকে না। রাস্তায় দিনে হোক রাতে হোক, ক্ষমতাসীনরা ট্রাফিক আইন মেনে চলার ধার ধারে না। বিষয়টি এমন যে, আইন মেনেই যদি চলতে হয়, তবে এত কাঠখড় পুড়িয়ে ক্ষমতা অর্জন করে লাভ কী? শুধু ক্ষমতাবানরা নয়, তাদের আত্মীয়-স্বজনেরাও আইন মানার প্রয়োজন বোধ করে না।
বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাসীনরা বিভিন্ন নামে বিভিন্ন অপারেশন চালায়। এর আগে ছিল ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’। সদ্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে দেশকে শয়তানমুক্ত করার অভিযানে নেমেছে। মানুষের হার্ট কতটা ক্লিন হয়েছে কিংবা শয়তান কতটা দমন হয়েছে, কে জানে। শয়তান চিহ্নিত করার উপায়ই-বা কীÑনির্ধারণ করবে কে? শেষ পর্যন্ত এসব বিরোধী হত্যা উৎসব বলেই গণ্য হয় এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলেই নিন্দিত হয়। এবারের ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ যেন বিতর্কমুক্ত হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে সরকারকে।

কমেন্ট বক্স