আমি যে হারাই বারবার প্রিয় তোমার গভীর প্রেমে
মায়ার বাঁধনে বেঁধেছি তোমায় আমার হৃদয় ফ্রেমে।
আয়নায় দেখি নিজেকে যত দেখি তোমার মুখ,
নিজের বেদন ঢাকিতে গিয়ে তোমাতেই দেখি সুখ।
বক্ষে বাজে তোমারই গান আঁখিতে অশ্রুরাশি
তোমারই বিরহে এ মন আমার বাজায় করুণ বাঁশি।
শুনতে কি পাও? প্রিয় আমার, হৃদয়ের প্রতিধ্বনি?
বুকের গভীরে রেখেছি তোমায় সাগরে যেমন মনি।
সাগর শুকাইয়া হয় যদি গো সাহারার মরুতল
তখনও দেখিবে তোমারই জন্য রয়েছে অক্ষিজল।
মনের আগুণে মন পুড়ে তাই মোমের মত গলে,
তোমায় বিনা মনের আগুন নিভাই চোখের জলে।
সে তো নিভে না জ্বলন্ত এ বুক তুষের আগুনের মত,
তোমারি স্মরিয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া এ বুক হয়েছে ক্ষত।
তোমাকে দেখিতে দু’চোখ আমার হয় গো তন্দ্রাহারা,
তোমাকে ভেবেই আঙিনায় এসে দেখি যে ধ্রুবতারা।
তোমাকেই প্রেমের মুকুট বানিয়ে মাথায় দিয়ে রাখি
তোমাকে মনে করিয়া আমার সিক্ত হয় যে আঁখি।
আমার কাঁদন দেখিয়া ধরায় বাদল এসেছে নেমে,
হৃদয় গেয়েছে বেদনার বীণা পাখির কন্ঠ থেমে।
কত যে ব্যথার পাহাড় জমে এ মন শুধুই জানে,
সব ভুলে যাই থাকলে চেয়ে তোমার বদন পানে।
কত যে কথা বলে যাই প্রিয় গোপনে তোমার সাথে,
বুকের ব্যথা দ্বিগুণ বাড়ে নিকষ গভীর রাতে।
যদি পুড়ে যাই চৌত্রের দাহে শিশিরে ভিজি শীতে
শিউলি ফুলের পরশখানি ভুলনা মাখিয়ে দিতে।
যদি কখনও ঢলে পড়ি প্রিয় ঘুমের শ্রান্তকোলে,
গভীর নিশিতে গগণে দেখিবে একাকী রয়েছি জ্বলে।
এ লেখা নয় কলমের কালিতে রক্ত ক্ষরণে লেখা
ওপারে যেয়েও থাকিব চেয়ে পাইতে তোমারই দেখা।
না বলা কথা লিখিলাম তোমায়, রাখিও যতনে তুলে,
এইটুকু মিনতি, যদি মনে পড়ে,পড়িও গোপনে খুলে।