হাইকোর্টের রায়ে সদ্যই সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পুনর্বহাল হয়েছে। এতে ফিরে এসেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে সংবিধানে যেভাবে ছিল, সেভাবেই নির্বাচনকালীন সেই সরকারের মেয়াদ ৯০ দিন হওয়ার কথা। আর প্রধান উপদেষ্টা হবেন সর্বশেষ অবসর নেওয়া প্রধান বিচারপতি। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে এসব কথা বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
তিনি আরো যোগ করেন, উচ্চ আদালতের রায় অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে ‘হ্যান্ডেল’ করবে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।
টকশোতে অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। দেশের রাজনীতি, নির্বাচন, সংস্কার- এমন নানা বিষয়ে কথা বলেন দুই বক্তা। অনুষ্ঠানটি সরাসরি হয়েছে ২ জানুয়াারি মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা)।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে জোনায়েদ সাকি বলেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী যখন বাতিল, এমন অবস্থায় দেশে একটি সরকার উৎখাত হয়েছে। তখন সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করে একটি অন্তর্র্বতী সরকার গঠিত হয়েছে। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে পুরোপুরি স্পষ্ট হতে আবার সেই সর্বোচ্চ আদালতের কাছেই যেতে হবে।
এদিকে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রনয়নের দাবিতে সোচ্চার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ প্রসঙ্গে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ভাষ্যকার জোনায়েদ সাকি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে একটি ঘোষণা আসতে পারে। কিন্তু এটা ‘প্রোক্লেমেশন’ কি না, সেটা আলোচনার বিষয়। বাংলাদেশের গোড়াপত্তন যখন হয়, সেই মুক্তিযুদ্ধের একটি ঘোষণাপত্র তৈরি করা হয়েছিল। সেটিই ছিল তখন সংবিধান। জুলাই আন্দোলন নিয়ে ঘোষণাপত্র সংবিধানে যুক্ত হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে সব অংশীজনের একতার ভিত্তিতে। ছাত্ররাও এ বিষয়টি প্রস্তাব আকারে দিতে পারে, বলেন তিনি।
একই প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, জুলাই আন্দোলনের ঘোষণাপত্র ছাত্ররা যদি একা দিয়ে দেয়, তাহলে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে যে ঐক্য, তা আর থাকবে না। অন্তর্র্বতী সরকারের উদ্যোগে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচনের জন্যই অনেকগুলো সংস্কার দরকার। সেগুলো সুনির্দিষ্ট করতে হবে। আবার সংবিধান সংস্কারের মতো বিষয়ের জন্যও নির্বাচন দরকার। কারণ এক্ষেত্রে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে তার অনুমোদন দরকার হবে।