প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের মধ্যে কোনো দূরত্ব তৈরি হয়নি। বিশেষ করে সেনাপ্রধান যদি ‘বেয়ারা টাইপ’ হতেন এতোদিনে বাংলাদেশে অন্যরকম পরিস্থিতি তৈরি হতো। এমন দাবি করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে এসে তিনি আরো বলেছেন, কিছুদিন আগে আমরা ছবিতে দেখেছি যে, সেনাপ্রধান সস্ত্রীক যমুনায় গিয়েছিলেন। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হাসিমুখে ছবিও তুলেছেন। ‘রেষারেষি’ থাকলে এমন সৌহার্দ্য দেখা যেতো না বলে মনে করেন তিনি।
১০ জুলাই বৃহস্পতিবার এই টকশোতে অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব কাজী জেসিন। নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) যা সরাসরি সম্প্রচারিত হয় ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ইউটিউব চ্যানেলে। দেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা নিয়ে নিজ নিজ বিশ্লেষণ তুলে ধরেন দুই অতিথি। তারা কথা বলেন সমসাময়িক আরো কিছু বিষয় নিয়ে।
জাতীয় নির্বাচন ও অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে একাধিকবার কথা বলেছেন সেনাপ্রধান। যা সরকারের অনুসারী অনেকেই পছন্দ করেননি। কিন্তু নির্বাচন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের মধ্যে মতভেদ রয়েছে এমনটি মনে করেন না মিডিয়া ব্যক্তিত্ব কাজী জেসিন। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের মধ্যে নির্বাচন প্রশ্নে কোনো দূরত্ব আছে- এটা আমার মনে হয় না। সরকার যেমন বহির্বিশ্বের সঙ্গে কাজ করে। সেনাবাহিনীর সঙ্গেও বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কাজ থাকে। বিশ্বায়নের যুগে এক দেশ অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল। সেই জায়গা থেকে বহির্বিশ্ব গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দেখতে চায়। তারা একটি দেশে স্থিতিশীলতা দেখতে চায়। এই জায়গা থেকে সবাই একই অবস্থানে আছেন।’
সম্প্রতি নানা কারণে গণমাধ্যম প্রশ্নের মুখে পড়ছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ঘায়েল করতে ‘অপতথ্য’ ছড়ানোর প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক কাজী জেসিন বলেন, ‘অপতথ্য দিয়ে অপতথ্য মোকাবিলা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সৎ সাংবাদিকতার চর্চা কীভাবে করা যায়, এ নিয়ে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা দরকার।’
দেশে গণমাধ্যমের বর্তমান স্বাধীনতার চিত্র নিয়ে আল-জাজিরায় কর্মরত সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান বলেন, সাংবাদিকদের কাজে সরকারের দিক থেকে চাপ থাকে। মালিকপক্ষের চাপ থাকে। বর্তমান আরো অনেক পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে। এসব বিবেচনায় দেশে গণমাধ্যম মুক্তভাবে কাজ করতে পারছে, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই বলে তিনি মনে করেন।
ঠিকানা/এসআর