১. বড়দিনের আলো
বড়দিনের আলো নামে পৃথিবীর বুকে,
যেন বিধ্বস্ত কোনো আত্মার ওপর মায়াবী চাদর।
তুষারের শুভ্রতায় লুকিয়ে থাকে শান্তি,
যেন শত ঝড়ের পর কোনো বটবৃক্ষের আশ্রয়।
গির্জার ঘণ্টাধ্বনি ছুঁয়ে যায় শীতার্ত রাত,
যেন সুরের গহনে মিলিয়ে যায় অব্যক্ত প্রার্থনা।
মোমের আলো কাঁপে বাতাসের ছন্দে,
যেন ভালোবাসার হাত দুটি খুঁজছে একাকিত্ব।
বড়দিন আসে আরেকটি জন্মের গল্প নিয়ে,
যেন প্রতিটি হৃদয়ে জেগে ওঠে এক নতুন ভোর।
২. তুষারের কাব্য
তুষার ঝরছে নিঃশব্দ পৃথিবীতে,
যেন কেউ সাদা চাদর দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে সমস্ত ব্যথা।
প্রকৃতি লিখছে নতুন এক গল্প,
যেখানে প্রতিটি আঘাতের পরও বেঁচে থাকে আশা।
শিশুরা ছুটছে সেই শুভ্র ক্যানভাসে,
যেন নিঃশর্ত আনন্দে আঁকা জীবনের ছবি।
তুষারের স্ফটিকগুলো একেকটি গল্প বলে,
যেন প্রতিটি ফোঁটায় বন্দী অনন্তকালের রহস্য।
এই তুষারের স্রোতে হারিয়ে যায় কালো রাত,
যেন কোনো দুঃস্বপ্ন মুছে দেয় ভোরের আলোর ছোঁয়া।
৩. তারকার আলোয় পথচলা
বড়দিনের তারকা ঝিকিমিকি করে আকাশে,
যেন পথ হারানো নাবিকের কাছে দূরের আলো।
তারকার দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করে পৃথিবী,
যেন এক চুমুকে বেদনার সবটুকু বিষ শুষে নেয় শান্তি।
বাতাসে ভেসে আসে যিশুর জন্মের গান,
যেন আত্মার মধ্যে মিশে থাকা এক শুদ্ধ সুর।
এই আলোয় ভরিয়ে তোলো সব শূন্যতা,
যেন হৃদয়ের গহিন অন্ধকারে জ্বলে ওঠে চিরকালীন দীপ।
৪. প্রেমের উৎসব
বড়দিনের প্রেম ছড়িয়ে পড়ে প্রতিটি কোণে,
যেন পাহাড়ের শিখরে জমা বরফ গলে মিশে যায় নদীতে।
উপহারের মোড়কে মোড়া নয়,
এই দিন ভালোবাসার রূপকে পরিণত হয়।
পিতার হাত ধরে হাঁটে ছোট্ট মেয়ে,
যেন সব হারানোর পরও থেকে যায় একচিলতে আশ্রয়।
বড়দিন মনে করিয়ে দেয়,
যেন প্রতিটি কান্নার শেষে অপেক্ষা করে এক হাসির ভোর।
৫. বড়দিনের রাত
বড়দিনের রাত নিঃশব্দ আর গভীর,
যেন কোনো প্রাচীন প্রার্থনার শব্দহীন প্রতিধ্বনি।
তুষারের চাদরে ঢাকা মাঠ জেগে ওঠে,
যেন কোনো কবি তার প্রেমিকার জন্য রচনা করেছে এক শ্বেত পৃষ্ঠা।
চিমনির ধোঁয়ার সাথে মিলিয়ে যায় দূরের তারকা,
যেন কেউ আকাশে পাঠিয়ে দিচ্ছে অদৃশ্য প্রার্থনার শব্দ।
এই রাত পৃথিবীকে শেখায় ক্ষমার ভাষা,
যেন প্রতিটি দুঃখের গল্পেও থাকে নতুন শুরু।
বড়দিনের রাত তাই শুধু রাত নয়,
এ এক জন্মের পুনরাবৃত্তি, আশার পুনর্জাগরণ।