Thikana News
০৭ অক্টোবর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

আকস্মিক আসাদের পতনে কী ভাবছে বিশ্ব

আকস্মিক আসাদের পতনে কী ভাবছে বিশ্ব



 
সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের আকস্মিক পতনে নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে অংক শুরু করেছে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো। প্রাথমিকভাবে তারা অবলীলায় নতুন সরকারকে সমর্থন দেয়ার কথাই জানাচ্ছে। কেননা সিরিয়ার রাজনীতির সঙ্গে কৌশলগতভাবে আসাদ সরকারের মিত্রদের পাশাপাশি অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশের স্বার্থও জড়িত রয়েছে। 

অনলাইন বিবিসি বলছে, আসাদ সরকারের প্রধান মিত্র দেশ ছিল রাশিয়া। ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় আসাদ সরকারের পতনে রাস্তায় বিক্ষোভে নেমে আসে সিরিয়ার লাখ লাখ মানুষ। ওই বিক্ষোভ দমনে আসাদ সংঘাতের পথ বেছে নিলে তা এক সময় গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। তখন থেকে আসাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল মস্কো। তবে এবার ঘটনা ছিল পুরো উল্টো। দৃশ্যত আসাদের পাশে রাশিয়ার কোনো কার্যকর ভূমিকা না থাকায় মাত্র ১২ দিনেই তার পতন নিশ্চিত করেছে বিদ্রোহীরা। যদিও রাশিয়াই আসাদকে আশ্রয় দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আসাদের সঙ্গে তার পরিবারও বর্তমানে মস্কোতে অবস্থান করছে। তবে আসাদের পতনের পর নিজেদের সামরিক ঘাঁটিগুলোকে ‘উচ্চ সতর্কতায়’ রেখেছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো। সিরিয়ার ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।এখনই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে মুখ খোলেনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

অন্যদিকে আসাদ সরকারের আরেক ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ হচ্ছে ইরান। আসাদের পতনের পর নতুন সরকারের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করছে তেহরান। এক বিবৃতিতে সিরিয়ার সকল পক্ষের সমর্থনে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন কাঠামো বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ আরেক দেশ তুরস্ক বিদ্রোহীদের কয়েকটি গোষ্ঠীকে সমর্থন করেছে। আগামীদিনে সিরিয়াতে শান্তি ও স্থিতিশীল পরিবেশ সুরক্ষিত করার প্রচেষ্টায় পাশে থাকার কথা জানিয়েছে আঙ্কারা। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, গৃহযুদ্ধের সময় পালিয়ে আসা লক্ষাধিক সিরীয়ানকে প্রত্যাবাসনের জন্য কাজ শুরু করেছে তুরস্ক। 

এছাড়া সিরিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর গভীর পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, এক ঐতিহাসিক সুযোগের সন্ধিক্ষণে রয়েছে সিরিয়ার জনগণ। তবে নেতৃত্ব শূন্যতা নিয়েও উদ্বিগ্ন আমেরিকা। এছাড়া বিদ্রোহীরা আল কায়েদা ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সিরিয়া ইস্যুতে কড়া নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে চীনও সিরিয়ার রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ওপর নজর রাখছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স