আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন হয়েছে। বেশকিছু লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসব বিষয় সামনে এনে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) বার্তা লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে দ্য ডেইলি স্টার বাংলার সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা বলছেন, ট্রাম্পের টুইটে মিডিয়া প্রপাগাণ্ডার প্রভাব আছে। ঘটনা যতটা না ঘটেছে, তার চেয়ে বেশি অপপ্রচার হয়েছে। এর জন্য ভারতের মিডিয়া দায়ী বলে মনে করেন তিনি।
বহির্বিশ্বে সর্বাধিক জনপ্রিয় ও প্রাচীন সংবাদমাধ্যম ঠিকানার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ঠিকানা নিউজের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ টকশো’তে কথা বলেন গোলাম মোর্তোজা। যেখানে অতিথি হিসাবে আরো ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
৫ নভেম্বর মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) এই অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত ইউটিউব চ্যানেলে, যা একই সময়ে সরাসরি সম্প্রচারিত হয় বাংলাদেশের বেসরকারি জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের তিন মাসের মাথায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় এ অনুষ্ঠানে। ৫ আগস্টের পর থেকে মন্দির, মাজার, বাউল আখড়া- এ ধরনের স্থাপনা ঝুঁকির মধ্যে আছে। কিছু আক্রমণের ঘটনাও ঘটেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে এক ধরনের শঙ্কার কথা বলছেন অনেকেই। এ বিষয়ে অতিথিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীন। জবাবে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘সংখ্যা দিয়ে আমরা কারো পরিচয় নির্ধারণ করতে চাই না। আমরা মনে করি, সবাই এদেশের নাগরিক। সবার সমান অধিকার আছে। এবার দুর্গাপূজায় সেটা প্রমাণ হয়েছে।’
এদিকে সম্প্রতি শিল্পকলা একাডেমিতে বিক্ষুব্ধ কিছু মানুষের চাপে প্রদর্শনী চলা অবস্থায় নাটক বন্ধ করে দেন মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। টকশোতে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা বলেন, এটা কোনো ভালো বার্তা দেয় না। এটা ভালো লক্ষণও নয়। মহাপরিচালক প্রাথমিকভাবে তার দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারেননি। যারা মঞ্চে আগুন দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল, তাদের প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ডাকতে পারতেন জামিল আহমেদ। নাটক বন্ধ করে তিনি বাজে নজির তৈরি করেছেন, বলেন দ্য ডেইলি স্টার বাংলার সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা।
প্রদর্শিত অবস্থায় নাটক বন্ধ করার বিষয়টি ভালোভাবে দেখছেন না উপদেষ্টা ফরিদা আখতারও। তিনি বলেন, এটা মহাপরিচালকের আরও শক্তভাবে হ্যান্ডেল করা উচিত ছিল। বন্ধ করা মানে উদাহরণ সৃষ্টি হয়ে যায় যে, হুমকি দিয়েই বন্ধ করতে পারে। এটা কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়।