আমার গায়ে সুড়সুড়ি দেয় ঝকঝকে সব দিনের আলো,
মনটা কি তাই খুঁজে সদাই ঘুটঘুটে রাত আঁধার কালো?
জানি সে তো চোরের স্বভাব ধরল কেন আমায় শেষে?
তবে কি মোর বন্ধ চলা দিনের বেলা ভদ্র বেশে?
অতীত দিনের স্বর্ণস্মৃতি খোঁচায় শুধু থেকে থেকে,
চিন্তা করি ভাগ্যচাকা কেমন করে বসল বেঁকে?
গাড়ি বাড়ি সবই ছিল, মেদ-ভুঁড়িটাও ছিল খাসা,
ক্ষমতা আর অর্থ মাপে খরিদ ছিল ভালোবাসা!
কী হতে কী হয়ে গেল কল্পনাতেও হয়নি দেখা,
এখন আমার জীবন শুধু দীর্ঘশ্বাসের, একলা একা!
চৌদ্দ শিকের ভেতর বসে ‘রিমান্ড’ মনে হলেই কাঁপি,
যায় কি ভোলা গরম জল আর বিশেষ স্থানে ডিম থেরাপি?
চামচা-চেলা ছিল যারা চলে গেছে অনেক দূরে
তারাও এখন বলছে কথা আস্ফালনে, ভিন্ন সুরে!
গিরগিটিরা যেমন করে রং বদলায় বিপদ বুঝে
ওরাও তেমন বর্ণচোরা সন্তর্পণে সুযোগ খোঁজে!
লুটেপুটে খেল সবাই আমার সাথে চতুর ছলে,
এই বিপদে ফেলে সবাই সটকে গেল সদলবলে!
আমার এমন খারাপ দিনে তারা হাসে পিশাচ হাসি,
ভাবখানা ঠিক দড়ি হাতে এই বুঝি দেয় আমায় ফাঁসি!
প্রশ্ন করি তাদের কাছে, স্বাধীন দেশের জন্ম থেকে
এমন ধারা নতুন কি তা? দিন বদলাবে একে একে!
‘রেজিম’ কত এল গেল আমজনতা দেখল দেশে
আসবে না আর? কী ভেবেছ? আসবে দেখো ‘জম্বি’ বেশে!
আসবে নেতা যাবে নেতা, নেতার হাতেই জাদুর কাঠি
নেতার চরণ স্পর্শ পেয়েই ধন্য হবে দেশের মাটি!
ভাবছ কি মোর দিন হলো শেষ? শীত শুধু নয় একটি মাঘে,
সুযোগ পেলে এক ঘাটেতে জল খাওয়াব হরিণ-বাঘে!!