Thikana News
২১ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

‘ফিঙ্গারপ্রিন্টিং’ বন্ধ করছে অ্যাপল

‘ফিঙ্গারপ্রিন্টিং’ বন্ধ করছে অ্যাপল
অ্যাপ স্টোরের নীতিমালায় পরিবর্তন আনছে অ্যাপল। এর ফলে ডিভাইস থেকে তথ্য নিয়ে বিজ্ঞাপনের জন্য ডিভাইসের মালিকের ওপর অ্যাপের নজরদারি বন্ধ হবে। 

অ্যাপ স্টোরের নীতিমালায় পরিবর্তন আনছে অ্যাপল। এর ফলে ডিভাইস থেকে তথ্য নিয়ে বিজ্ঞাপনের জন্য ডিভাইসের মালিকের ওপর অ্যাপের নজরদারি বন্ধ হবে।

মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট বা ডেস্কটপ কম্পিউটার থেকে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে (ডিভাইসটির ব্যবহারকারী) শনাক্ত করা ও তার আচরণ ও কার্যাবলী অনুসরণ করাকে প্রযুক্তির ভাষায় বলে ‘ফিঙ্গারপ্রিন্টিং’। এতে আক্ষরিক অর্থে আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহৃত না হলেও আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে যেমন একজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়, তেমনি ডিভাইস থেকে তথ্যাবলী নিয়ে ব্যক্তিকে শনাক্ত করে তার কার্যাবলী অনুসরণ করা যায়। 

শীঘ্রই ফিঙ্গারপ্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ওপর নজরদারির উদ্দেশ্যে ডিভাইস থেকে ডেটা সংগ্রহ করা অ্যাপগুলোর ওপর অভিযান চালাবে অ্যাপল।

কোম্পানির ডেভেলপার সাইটে বিষয়টি চিহ্নিত করে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ‘৯টু৫ম্যাক’ প্রতিবেদনে বলেছে, ‘আইওএস ১৭’, ‘টিভিওএস ১৭’, ‘ওয়াচওএস ১০’ ও ‘ম্যাকওএস সনমা’র মতো অপারেটিং সিস্টেম প্রকাশ পাওয়ার পর ডেভেলপারদের ‘এপিআই’ ব্যবহারের সম্ভাব্য কারণগুলোর ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।

যথার্থ কারণ দেখাতে ব্যর্থ হলে ২০২৪ সালে বসন্ত থেকে তাদের নিষিদ্ধ করার কথাও বলেছে অ্যাপল।

“কিছু এপিআইয়ে ডিভাইস বা ব্যবহারকারী শনাক্ত করতে ডিভাইসের সিগনালে প্রবেশের মাধ্যমে অপব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে। ব্যবহারকারী এতে অনুমতি দেবেন কি না, তার চেয়েও বড় বিষয় হল ফিঙ্গারপ্রিন্টিংয়ে আমরা অনুমোদন দেই না।” --লিখেছে অ্যাপল।

যে সকল এপিআই ব্যবহারকারীর ডেটা সংগ্রহ করার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে অ্যাপল সে কারণগুলো অ্যাপ নির্মাতাকে অ্যাপের প্রাইভেসি ম্যানিফেস্টে উল্লেখ করে এর যথার্থতা দেখাতে হবে বলে উল্লেখ করেছে অ্যাপল।

ডেভেলপারদের অনেকেই ৯টু৫ম্যাককে বলেছেন, নতুন নীতিমালার কারণে অ্যাপ স্টোরে জমা দেওয়া অ্যাপ নাকচ হওয়ার সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। 

এপিআইয়ের মাধ্যমে ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ শ্রেণিভূক্ত অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীর স্মার্টফোন বা পিসির ফিচার বদলে দিতে পারে। এর মধ্যে থাকতে পারে ডিভাইসের স্ক্রিন রেজুলিউশন, মডেল, অপারেটিং সিস্টেম’সহ অনেক কিছুই।

পরবর্তীতে সেইসব তথ্য সংগ্রহ করে একটি বিশেষ ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ তৈরি হয়, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী অন্যান্য অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করলে তা শনাক্ত করা যায়।

২০২১ সালে আইওএস ১৪.৫ প্রকাশের সময়ই ডিভাইস ট্রাকিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। এর পাশাপাশি, ব্যবহারকারীকে ট্র্যাক করার বিষয়ে ডেভেলপারদের অনুমতি নেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই ফিচার চালু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের কেবল চার শতাংশ ব্যবহারকারী অ্যাপ ট্র্যাকিংয়ে সায় দিয়েছেন। এখন কোম্পানিটি ফিঙ্গারপ্রিন্টিং (ক্যানভাস ফিঙ্গারপ্রিন্টিং নামেও পরিচিত) ব্যবস্থাও বন্ধের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

২০১৮ সালেই অ্যাপল বলেছিল সাফারি ব্রাউজারে প্রবেশ করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ডেটা সংগ্রহ সীমিত করার মাধ্যমে তারা ম্যাকওএস-এর ফিঙ্গারপ্রিন্টিং সংশ্লিষ্ট বিষয়টি মোকাবেলা করবে। আর এখন অ্যাপগুলোর বেলাতেও একই পন্থা অবলম্বন করছে কোম্পানিটি।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স