আকাশ থেকে ঝরে পড়া সূর্যের আলোর মতো
তাদেরকে দেখতে! দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার সন্ধিক্ষণে।
উত্তাল ঘূর্ণিঝড়ে শাখাহীন বৃক্ষ
আত্মবিশ্বাসের জোরে নির্ভয়ে দণ্ডায়মান,
বাতাসের ঝাপটায় পাতাগুলো উজাড় হলেও
শিকড় উপড়ে নেওয়ার শক্তি কারও নেই।
মাটির গভীরে থাকা শিকড়ে যে আঁচড় গচ্ছিত আছে
তা ক্ষয়হীন, মাটির অতলান্ত ভিত্তির গভীরতায়।
উদ্ভিদের মতো, শাখাচ্যুত ভূলুণ্ঠিত ফলের মতো
মাটির স্পর্শ পেলে নতুন গাছের জন্ম দেয়।
যারা আসছে, তারা আসবেই, নশ্বর জীবন্তিকায়
পথ ছেড়ে দিতে হবে নতুন আগন্তুক দেখলে
অনাদিকালের চক্রবাকে পালাবদলের প্রজ্ঞাপনে।
ক্যামেলিয়ন সে তো রং বদলাবেই তার প্রয়োজনে,
দুরন্ত পথিকের পথপরিক্রমায় প্রবঞ্চনার রং
কোনো দেয়ালের কাজে সক্রিয় নয় বলেই
বৃষ্টির জলে তার স্থায়িত্ব ক্ষীণ।
দূষিত জলের স্পর্শ পেলে মাছরাঙাও পালায়,
বিদগ্ধ আঁখির দূরদৃষ্টির অনির্বাণ শিখা
বহুরূপী রঙের চিত্রপটে নতুন মিশ্রণের স্বপ্ন দেখছে।