প্রেমের কবি! দ্রোহের কবি! মানবতার কান্ডারি!
জাতি-ধর্মে ভিন্নতা চূর্ণিতে আঁধারে দিয়েছ পাড়ি।
সম্প্রদায়ের ঊর্ধ্বে উঠিয়া গেয়েছ সাম্যের গান,
চিত্তবীণায় সুরে ঝংকারে হয়ে আছ মহীয়ান!
ধর্মান্ধতায় কুঠারাঘাতে মানুষে দিয়েছ স্থান,
বলেছ এক বৃন্তে কুসুম হিন্দু আর মুসলমান।
তুমি ছিলে নব দিগন্তের আলোকিত নবধারা,
দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তুমি তুলেছ তুমুল সাড়া।
অগ্নিবীণার ঝংকারে ঘুচো দাসত্বের অপমান,
অধীনতার শিকল ভেঙে করো মুক্তি আহ্বান।
তুমি আগ্নেয়গিরির অগ্নি! চেতনার মহাবীর!
অন্যায় তুমি করো ছারখার নত নাহি করো শির!
তুমি রণবীর! ধূমকেতু! বুলেটের বিস্ফোরণ!
মহাসিন্ধুর প্রলয় আঁকি! রুধির রুদ্ধ স্খলন।
ভণ্ডামিতে করেছ আঘাত সততাকে ঊর্ধ্বে রাখি,
দুর্দান্ত সাহসে রেখে গেছ সুন্দরের চিত্র আঁকি।
তুমি চির দুর্জয়! নির্ভীক! দুর্বার! মহা কল্লোলী!
তুমি পথশিশু! যাযাবর! খরসান কথাকলি।
সংকীর্ণ ভ্রুকুটি ছিন্নে তুমি দিয়েছ প্রেম-প্রণয়,
তোমার ঔদার্যে নারী পেল তার প্রতিভার জয়।
আকাশে বাতাসে চুমে আজি তোমার চরণধূলি,
যুগ-যুগান্তে রবে অম্লান তোমার মহিমাগুলি।
সাম্যের কবি! প্রেমের কবি! তুমি বিদ্রোহী অনন্য,
তব কীর্তির আভাতে আজি নিখিল ভুবন ধন্য!