Thikana News
২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
উভয় সংকটে ভারত, ড.ইউনূস রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান

হাসিনা-কাদেরের ফাঁসি দাবি

ফের কেয়ারটেকার
হাসিনা-কাদেরের ফাঁসি দাবি
শোকের মাস আগস্ট। আর এই শোকের মাসেই সংযোজিত হলো ঐতিহাসিক বিজয়। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সফল হলো ৫ আগস্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ চেয়ে এক দফার দাবি। কিন্তু পদত্যাগের পাশাপাশি পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। চারশ তরতাজা প্রাণের লাশের বিনিময়ে জিতলো প্রতিপক্ষ। সরকার ও সংসদ বিলুপ্ত করলেন ‘আওয়ামী রাষ্ট্রপতি’ মো. সাহাবুদ্দিন চুপপু। জেলমুক্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। পাশাপাশি আওয়ামী শাসনামলে বাতিলকৃত ‘কেয়ারটেকার’ সরকার পদ্ধতিও ফিরছে। প্রধান কান্ডারি হচ্ছেন শেখ হাসিনার ‘চোখেরবালি’ নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 
আশ্রিত শেখ হাসিনাকে নিয়ে উভয়সংকটে ভারত সরকার। নিজের মামলা ও ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে দি¦ধাগ্রস্ত ড. মুহাম্মদ ইউনুস। সাংবিধানিক জটিলতায় তত্ত্ববধায়ক সরকার গড়তে বিব্রত রাষ্ট্রপতি। বৈষম্যহীন ছাত্র আন্দোলনের বহুবিধ চাপে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। যাবজ্জীবন কারাদন্ড মাথায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে তারেক জিয়া। মা-হাসিনার অনুপস্তিতিতে দলের দায়িত্ব নিতে গলদঘর্ম জয়। অর্থাৎ রাজনীতির প্রধান কুশীলবদের সকলেই উভয়সংকটে। 
আসন্ন নির্বাচনে আবার বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনা ॥ মনুষহত্যায় ফাঁসির সম্ভাবনা : উভয় সংকটে ভারত
৫ আগস্ট ভূমিধ্বস পতন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার। আন্দোলনকারীদের ‘মার্চ টু ঢাকা’ তখন মধ্যগগনে। প্রায় ৩০ লাখ ছাত্র-জনতার ঢল গণভবন অভিমুখে। শেখ হাসিনার ফোন-কাল পায় ভারত সরকার। নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন। এতে কর্তৃপক্ষের শীতল সম্মতি মেলে। বলা হয়, ভারতের বিমান সীমান্তের ওপারে যাবে না। তবে নিজেদের বিমানে এলে ভেতরে প্রবেশের সুবিধা থাকবে। 
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনে মুখ খোলেনি ভারত। ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ বিষয়ক কর্মসূচিতে সরকার আহত হয়। ফলে শেখ হাসিনার বিপক্ষের আন্দোলনে নীরব থেকেছে ভারত। 
৫ আগস্ট সাময়িক সময়ের জন্যে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে আশ্রয় দেয় ভারত। ভেবেছিলো রাতের মধ্যেই দিল্লী থেকে ব্রিটেনে পাড়ি জমাবেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন সহোদরা শেখ রেহানা। তিনি এবং ওনার রাজনীতিক মেয়েও বৃটেনের পাসপোর্টধারী। মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি, সরকারের মন্ত্রী। শেখ হাসিনাও দীর্ঘদিন লন্ডনে বসবাস করেছেন। ফলে, ভারতপক্ষ ভেবেছে ‘হাসিনাজি’ ব্রিটেনের পথেই উড়বেন। কিন্তু রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংযোজিত হয় নতুন রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা আজিত দোভাল আসেন। দিল্লীর নিকটবর্তী গজিয়াবাদ এয়ারপোর্টে রিসিভ করেন। নিরিবিলি পরিবেশে নতুন কথা শোনান শেখ হাসিনা। বলেন, বাংলাদেশে এখন দীর্ঘমেয়াদী সেনাশাসন আসবে না। কেয়ারটেকার সরকার হবেÑ তিনমাসেই নির্বাচন আসবে। সেই নির্বাচনী বাতাবরণে আবার আওয়ামী লীগ জেগে উঠবে। 
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পূর্বাভাষে নড়েচড়ে ওঠে ভারতপক্ষ। ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ের বদলে নিজেদের অভিভাবকত্বকে গুরুত্ব দেয়। ভিআইপি লাউন্জ থেকে নেওয়া হয় ইন্দিরাপুরম-এর ‘সেফ হাউজে’। অধিকতর নিরাপত্তা, গোপনীয়তা ও দীর্ঘ আশ্রয়ের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। পরদিন সকালে ফেরত পাঠানো হয় বাংলাদেশ বিমানের সিজে- ১৩০ বাহনটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরামর্শে বিশেষ বৈঠক করেন নেতৃবর্গ। প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা দোভাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শেখ হাসিনা ও ‘বাংলাদেশ বিষয়ক নতুন মিশন ছিলো- প্রধান আলোচ্য। 
শেখ হাসিনাকে ঘিরে ভিন্নচিন্তাও খেলছে পর্যালোচনায়। গোয়েন্দা তথ্যমতে প্রায় সাড়ে পাচঁশ লাশ পড়েছে বাংলাদেশে। এরমধ্যে কোটা-সংস্কার আন্দোলনে দুই ধাপে সাড়ে চারশ। মধ্যজুলাই ও আগস্ট-সূচনায় ছাত্র-জনতার লাশ। শেখ হাসিনার সরকার তখন ক্ষমতাসীন। ছাত্রফোরাম এইসব হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আসছে। না পাওয়ায় এক দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছে। আন্দোলনে ভীত হয়ে প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এখন নতুন সরকার বানিয়েই শুরু করবে তার বিচার। হুকুমদাতা হিসেবে প্রথম নামটি আসবে শেখ হাসিনারই। ছাত্রলীগ-যুবলীগ দিয়ে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পুলিশের আইজিপিও সমান অপরাধী। বিরোধীদলকে ১৫ বছর ধরে দমনপীড়ন, গুম করেছেন।
পর্যালোচনায় বলা হয়, ২০০৯-এর পিলখানা হত্যাকাণ্ডও গণনায় আসবে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমিসহ আয়নাঘরের দীর্ঘমেয়াদী বন্দিরা মুক্তি পেয়েছে। বিচারবিহীন আটকের অপরাধে শেখ হসিনার ফাঁসি চাচ্ছেন। এছাড়া ‘সেভেন সিস্টারস’-এর বিদ্রোহ দমনের বিষয়টি রয়েছে। আলফা, বোড়ো, নাগা বিদ্রোহীদের হত্যায় সহযোগী ছিলো। বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়াকে লঘুপাপে দীর্ঘ কারাবাস দিয়েছে। সেইসব জিঘাংসা‘র কারণে শেখ হাসিনা ফাঁসির আদেশ পাবেন। সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অন্য নেতাদেরও বিচার হবে। পর্যালোচনা মতে, স্টুডেন্ট ফোরাম, বিএনপি, জামাত দ্রুত বিচার চেয়েছে। সে বিবেচনায় উভয় সংকটে পড়েছে ভারতীয় নেতৃবর্গ। শেখ হাসিনা ভারতের জন্যে দায় না সম্পদ- যাচন করছে। কারও মতে, তিনি খুনের দাগ নিয়ে ভারতে ঢুকেছেন। 
কেয়ারটেকার-প্রধান শেখ হাসিনার চিরশতক্র ড. ইউনুস ॥ এবার মামলা বনাম সরকার পরিচালনা
আন্দোলনকারী, রাষ্ট্রপতি ও সামরিক বাহিনী ঐকমত্যে পৌঁছেছে। নোবেলজয়ী ড. ইউনুস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হচ্ছেন। পৃথিবীর সেরা তিনটি পদক-পুরস্কারই পেয়েছেন এই খ্যাতিমান। শান্তিতে নোবেল, মার্কিন কংগ্রেশনাল ও প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাওয়ার্ড। গ্রামীণ ব্যাংকের এই প্রতিষ্ঠাতা ‘মাইক্রো ক্রেডিট’-এর প্রবক্তা। তত্ত্বাবাধায়ক সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে কাজের পূর্ব-অভিজ্ঞতা রয়েছে। ১৯৯৬-এ সাবেক প্রধান বিচারপতি প্রয়াত মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সতীর্থ ছিলেন তিনি। তিনমাস ধরে তিনটি মন্ত্রণালয় চালিয়েছেন। যথা গণশিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বন ও পরিবেশ। 
১৯৯৬-এর জুনের নির্বাচনে বিজয় পায় আওয়ামী লীগ। ১৪৭ আসন নিয়ে ১১৬ আসনের বিএনপিকে হারায়। তখন অধ্যাপক ইউনুসদের তত্ত্বাবধানেই প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে প্রধানমন্ত্রীর চক্ষুশূল হন ড. ইউনূস। এই আগ্রাসী আচরণের নেপথ্যে একাধিক কারণ বলে জানা যায়। প্রথমত ড. কামালের সঙ্গে ড. ইউনূসের বিশেষ সম্পর্ক। ১৯৯২-এ আওয়ামী লীগ ছেড়ে ড. কামাল ‘গণফোরাম’ গড়েন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ নিবন্ধ পড়েন প্রফেসর ইউনূস। শিরোনাম: ‘আমার দল’ যা নতুন রাজনীতির ইঙ্গিতবহ। উল্লেখ্য, ড. কামালের সঙ্গে শেখ হাসিনার ছিলো দা-কুমড়ো সম্পর্ক।
গ্রামীণ ব্যাংকে‘র প্রতিষ্ঠাতা হলেও ড. ইউনূস বিতাড়িত হয়েছেন। বয়সবৃদ্ধির অজুহাতে শেখ হাসিনার ইঙ্গিতে ‘এমডি পদ’ হারান। ড. কামালের নেতৃত্বে আদালতে গিয়েও অনুকূলে রায় পাননি। প্রফেসর ইউনুসকে শেখ হাসিনা বরাবর ‘সুদখোর’ আখ্যা দিতেন। প্রথমদিন গালি দেয়াকালে পাশে ছিলেন নেতা আব্দুল জলিল। তিনি আ‘লীগের সাবেক সম্পাদক ও প্রিমিয়াম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। শেখ হাসিনাকে বলেন, নেত্রী এভাবে বলবেন না। দেশে আরও ৬০ টি ব্যাংক রয়েছে। ড. ইউনূস সুদখোর হলে তো আমরা মহাসুদখোর। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা ঐ পর্যায়ে যাননি। 
হালে একাধিক মামলায় ড. ইউনূসের নাজেহাল পরিস্থিতি। চলছে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্নসাৎ মামলা। অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রফেসর ইউনূস আবেদন দেন। সম্প্রতি হাইকোর্ট তা খারিজ করেছে। এক বছরের মধ্যে বিচারিক আদালতে নিস্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে। হেরে গেলে ৬৬৬ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। 
এ রকম একাধিক মামলায় আদালতের বারান্দায় একমাত্র নোবেলজয়ী। এমতাবস্থায় দেশের সরকার-প্রধানও হওয়ার চাপ। যে কোন মূল্যে মামলার জট থেকে চলছে মুক্তিপ্রক্রিয়া। বলেন, বিশে^র নানা প্রান্তে অনেক কর্মসূচি আছে,তবুও সফল আন্দোলনের নিবেদিত ছাত্র নেতারা নাছোড়বান্দা। তাদের কথা, স্বৈরাচার তাড়াতে আমরা জীবন দিয়ে লড়ছি। আপনার অপমান আমাদের তথা জাতির গায়ে কাটা দিয়েছে। অতএব, আগামীর লড়াই-এ আপনার নেতৃত্ব একান্তকাম্য। উল্লেখ্য, সম্মতি দিলেও মামলার স্পশর্কাতর বিষয়টিতে তিনি চিন্তিত। 
মনকে প্রবোধ দিয়ে কঠিন সব সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। পাবনায় ছাত্রলীগের কর্ণধার ছিলেন ৭২-৭৩-এ। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের সাথে করছেন বঙ্গভবন বৈঠক। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও অন্যান্য বিষয়ে যৌথ আলোচনা। প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনার পতন-পলায়নে ভেঙে পড়েছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপ্রধানের গুরুদায়িত্ব পালনে ‘কসাই-সিদ্ধান্ত’ নিয়ে চলেছেন। ভেঙে দিয়েছেন আ’লীগ-প্রধান জাতীয় সংসদ। সতীর্থমুখ’র হাসিনা-মন্ত্রীসভাও নিষিদ্ধ করেছেন। 
১৪১/এ ধারায় জরুরী আইন দিতে পারতেন। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাড়া বিকল্প ক্ষমতায়ন মানা হবে না। সরকারের কুশীলবও নির্বাচন করবে ছাত্ররা। শুধু কি তাইÑ প্রতিপক্ষ বিএনপিও সুবিধা নিচ্ছে। দলনেত্রী খালেদা জিয়াসহ কেন্দ্রীয়-স্থানীয় নেতারা জেলমুক্ত হচ্ছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের আটক নেতারাও এখন মুক্ত-বাতায়নে। সকল কিছুতেই সম্মতি-স্বাক্ষর রাষ্ট্রপতি চুপপুর। ২০১১-তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বতিল করেছিলো আ’লীগ। ১০ মে সুপ্রিমকোর্টে প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক প্রথম বাতিল করেন। পরে সংসদে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে পুরোপুরি জবাই। ফলে ২০১৩, ২০১৮, ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই মন-মাফিক নির্বাচন। কিন্তু এবার সেই দলীয় ধারায় ব্যতিক্রম ঘটতে হচ্ছে। আবার ফিরিয়ে আনতে হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক বা কেয়ারটেকার পদ্ধতি। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮-এর পথে আবার অভিযাত্রা। জামাতের প্রস্তাবিত ‘কেয়ারটেকার’ প্রতিষ্ঠায় আ’লীগের ১৭৩ দিন হরতাল। অবশেষে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৯৯৬-এর মার্চে বাস্তবায়ন। ঐ তত্ত্বাবধায়কের মাধ্যমেই প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন বঙ্গবন্ধুকন্যা হাসিনা। 
স্মৃতি সতত সুখের, সতত বেদনারও। সংবিধানের বাতিলকৃত বিলটি আবার জাগাতে হচ্ছে। ৫৭ অনুচ্ছেদের ৭৫ ধারামতে রাষ্ট্রপতির ‘ইনহেরেন্ট’ ক্ষমতা প্রয়োগ। অধ্যাদেশের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন প্রক্রিয়া। সংসদ গঠিত হলে এই ধারাটির বৈধতা নিতে হবে। মনের ব্যথা মনে চেপে দেশের দায়িত্বে সরব রাষ্ট্রপতি। 
সামরিক বাহিনীর পায়ে জতিসংঘের বেড়ি ॥ সেনাপ্রধানের বহুমাত্রিক বেদনা ও অগ্রযাত্রা
নতুন সেনাপ্রধান হয়েই অসংখ্য চ্যালেন্জের মুখোমুখি জে. ওয়াকারুজ্জামান। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক আত্নীয়তা রয়েছে। পৈতৃকবাস জামালপুর, শ^শুরালয় রংপুর সদরে। প্রয়াত সেনাপ্রধান মুস্তাফিজুর রহমান, বীরপ্রতীকের জামাতা। বঙ্গবন্ধুর কাজিন-বোন ছিলেন শ^াশুড়ী আম্মা। সেই সূত্রে শেখ হাসিনার ফুপাতো বোনের স্বামী। কিন্তু ভগ্নিপতি হয়েও জননেত্রী হাসিনার কিছু অনুরোধ রাখতে পারেননি। না পারলেও জীবন বাচাঁতে ভারত পালানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। মালামালসহ যেতে দেয়া নিয়ে চলছে নানান বিতর্ক। 
আন্দোলনের ছাত্রনেতারা একাধিকবার অভিযোগটি তুলেছে। বলেছে, নেত্রী হাসিনার হাতে শত শত খুনের দাগ। কোর্ট মার্শালে কোমলমতি ছাত্রহত্যার বিচার করা যেতো। ফাঁসির দড়িতে ঝোলালে অসংখ্য আত্না প্রশান্তি পেতো। সন্তানহারা মা-বাবা-অভিভাবকেরা চোখের জল মুুছতেন। 
অবশ্য, সময়ের সাহসী সন্তান আখ্যা পেয়েছেন সেনাপ্রধান। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে তেমন বিরোধে জড়াননি। বরং সেনাবাহিনী চট্রগ্রামে, মিরপুরে, আন্দোলনের পক্ষে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর পায়ে আসলে জাতিসংঘের বেড়ি। সহিংস না হতে বারবার পেয়েছে নোটিশ। জাতিসঙ্ঘ শান্তিমিশনে সাত হাজার বাংলাদেশি সৈন্য কর্মরত। রয়েছে পুলিশ, ৪২৩ জন নারীও। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুবর্ণসুযোগ এই ‘মিশনজব।’
 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তমতো চলতে পারেননি। অধ:স্থনদেরও অনুরোধ ছিলো যথাযথভাবে চলার। ফলে সামারিক বাহিনীর হাতে রক্তপাতের তেমন ঘটনা নেই। জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রশ্নে থাকতে হায়ছে অনেকটা নিরপেক্ষ। যদিও ‘ভগ্নিপতি’ প্রশ্নে হৃদয়ের গভীরে জমেছে ক্ষত। 
 যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আসামী তারেক রহমান ফেরার পথ খুঁজছেন 
৭ বছর, ১০ বছর ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডের মামলা কাধেঁ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৃটেনে ১৬ বছর। উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে ২০০৮ থেকে লন্ডন প্রবাসী। ঢাকায় ২১ আগস্ট, ২০০৪-এর গ্রেনেড হামলার রায়ে যাবজ্জীবন। আদালতের শুনানিতে অংশ নিতে না পারায় জামিন বাতিল। আবার অনুপস্থিতির কারণে আদালতে‘র চোখে ‘পলাতক আসামী।’ মামলা না গুছিয়ে বাংলাদেশে ফিরতে তিনি দ্বিধাগ্রপ্ত যদিও পয়লা সেপ্টেম্বর বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতিথিতে ফিরতে আগ্রহী। 
 দলের হাল ধরতে দু‘টানায় সজীব ওয়াজেদ জয়  
অ্যামেরিকা থেকে ভারতে মায়ের সাথে ফোনালাপ হচ্ছে। মা শেখ হাসিনা রাজনীতিতে আর ফিরতে চান না। প্রতিহিংসার রাজনীতিতে ‘ফাসিঁর ট্রাজেডী’ হাতছানি দিচ্ছে। ফলে দলের নেতৃত্ব নিতে সজীব ওয়াজেদ জয় আছেন চাপে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর ফেসবুকে সক্রিয় হয়েছেন। দলের জোর আহ্বানকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। ২০২৪-এর ৪ নভেম্বর-এর মধ্যে নতুন নির্বাচনের কথা। মায়ের বদল টুঙ্গিপাড়া, গোপালগন্জ থেকে প্রার্থিতার প্রস্তাব পেয়েছেন। যদিও তিনি পৈতৃকবাস পীরগন্জ রংপুর-এর দলীয় সদস্য। মাঠের রাজনীতি শেখানের জন্যে মাকে ধরেছেন। বলেছেন, শিখতে পারলে রাজনীতিতে আসবো। না হলে দূরে দূরেই থাকি।
 

কমেন্ট বক্স