মায়া নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরা হলো। আশাকরি এই কথাগুলো আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। যখন মায়া বাড়িয়ে লাভ হয় না, তখন মায়া কাটানো শিখতে হবে। এখানে উল্লিখিত মায়া নিয়ে কথাগুলো প্রয়োজন মতো সঠিক হিসাবের ঘরে ব্যবহার করতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে, মায়া নিয়ে কিছু আলোচনা করে নেওয়া যায়। মায়া এক অদ্ভুত জিনিস । এই মায়ার কারণেই পৃথিবীতে এত কিছু। এর ভালো দিক যেমন আছে, ঠিক তেমনি খারাপ দিকও আছে।
তবে বেশির ভাগ গুণী ব্যক্তিরা এর খারাপ দিকের কথাই বলেছেন। যদিও ভালো দিক আছে তবে খারাপ দিকটাই বেশি। মায়ার কারণে মানুষ কোনো কিছু করার ইচ্ছা থাকলেও তা করতে পারে না। সবচেয়ে খারাপ মায়া হচ্ছে মানুষের মায়া! যার মায়া যত বেশি, সে ঠকেও তত বেশি। মায়া ত্যাগ করতে শিখুন, দেখবেন কষ্ট কমে গেছে..!! কারণ মায়া জিনিসটা নেশার চেয়েও খারাপ। মানুষ হারায়, সম্পর্ক হারায়, অভ্যাস হারায়!! কিন্তু মায়া আর ভালোবাসা কখনো হারায় না।
অনেক সময় মায়া ফুরাবার আগে, মায়া করা মানুষগুলো হারিয়ে যায়। যেদিন কারোর প্রতি মোহ মায়া সব কিছু শেষ করে নিজের মতো করে বাঁচতে পারবে, সেদিন বুঝবে তুমি জিতে গেছো! মায়া সত্যিই বড় অদ্ভুত! না দেয় ভালো থাকতে, না দেয় ভুলে যেতে। মায়া ত্যাগ করতে না পারা মানুষগুলো জীবনে কখনো সফল হতে পারে না! আমরা যদি মায়া কাটাতে পারতাম, তাহলে অনেক ভালো থাকতে পারতাম! হুট করে মানুষ মায়ায় পড়লেও, হুট করে মায়া কাটিয়ে বেড়িয়ে আস্তে পারে না!
প্রেম ধীরে ধীরে মুছে গেলেও, মায়া মুছে যায় না! মায়া সারাজীবন শুধু কাঁদায়। সব ভালোবাসায় মায়া থাকে না; কিন্তু সব মায়ায় ভালোবাসা থাকে। কিছু কিছু মানুষ আছে, যারা মায়া বাড়িয়ে জীবন থেকে হারিয়ে যায়। নেশা শুধু নিকোটিনের মধ্যে থাকে না, কারো মায়া ভরা হাসির মধ্যেও থাকে। মানুষের পেছনে যা হাটে তার নাম ছায়া, আর মানুষ যার পেছনে হাটে তার নাম মায়া। জীবনে কত মানুষই প্রিয় হয়! কিন্তু কিছু মানুষের প্রতি আজীবন মায়া থেকে যায়।
ভালোবেসে থেকে যেতে মায়া লাগে, আর ছেড়ে চলে যেতে লাগে অজুহাত। জানি তাকে পাওয়া যাবে না! তবুও তাকে ভুলতে পারি না! বোধহয় এটাই মায়া। তুমি তখনই ভালো থাকবে! যখন তুমি পেছনের মায়া কাটিয়ে ভাগ্যকে মেনে নেবে। অনুভূতি, ভালোবাসা, মায়া, এগুলো যত কম প্রকাশ করবেন, আঘাত করার সুযোগ মানুষ তত কম পাবে! আমাকে ছাড়া থাকতে পারবি তো...? এই একটাই কথা মায়া বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট! যেখানে তোমার কোনো মূল্য নেই, সেখানে মিছে মায়া দিয়ে কাউকে আটকে রাখা যায় না। যে সম্পর্কের মায়া বোঝে না, তাকে গভীরে রাখলেও আপন হবে না!
ভুলেও কোনোদিন কারোর মায়ায় নিজেকে জড়িয়ে ফেল না...!! যদি নিজেকে জড়িয়ে ফেল তাহলে কোনোদিন ভালো থাকতে পারবে না। মায়া কেটে গেলে একজন ছেড়ে যায়, আর একজন হেরে যায়! মায়া এবং আবেগ এই দুটোই আমাদের ভালো না থাকার মূল কারণ! কিন্তু এগুলো আমরা ত্যাগ করতে পারি না! সৌন্দর্যে নয়, মায়ায় আটকে যাওয়ার নামই ভালোবাসা! মায়া হলো মাকড়সার জালের মতো। একবার জড়িয়ে গেলে তার থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন। মায়া হলো অদৃশ্য এক চোরাবালি! যার মাঝে আটকে যায় হৃদয়।
মায়া দিয়ে যাকে বেঁধে রাখতে পারোনি, তাকে কখনো সম্পর্ক নিয়ে বাঁধতে যেও না! জানি সে আমার নয়, তবুও তার প্রতি কেমন মায়া হয়। মায়া ত্যাগ করতে সবাই পারে না। আর যে পারে, সে এই পৃথিবীতে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে। নিচে দেওয়া মায়া নিয়ে উক্তিগুলো পড়ে দেখুন, আপনাদের ভালো লাগবে। মায়া বাড়লে অভিমানও বেড়ে যায়! তাই যে অভিমান বোঝে না, তার প্রতি মায়া বাড়াতে নেই। মায়া, মমতা, ভালোবাসা বিবেকহীন মানুষের জন্য নয়! ভালোবাসা এমন এক মায়াÑ যা একবার কারোর উপর পড়লে, দিন দিন সেটি বাড়তেই থাকে...!
কিছু কিছু মায়া মানুষকে একেবারেই... নিঃস্ব করে দেয়! পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর রোগের নাম হচ্ছে মায়া! যেটা মানুষকে মৃত্যুর আগেই লাশ বানিয়ে দেয়। বিচ্ছেদ মানুষকে যত না বেশি কষ্ট দেয়!!! তার চেয়ে অধিক বেশি কষ্ট দেয় মায়া। আমি তোমার মায়ায় পড়েছিলাম, বড্ড মায়ায়! কিন্তু যখন দেখলাম... তুমি অন্য কারো মায়ায় জড়িয়ে আছো, তখন আর নিজেকে সেই মায়ায় বেঁধে রাখিনি। যার জীবনে মায়ার পরিমাণ যত বেশি, তাঁর জীবনে কষ্টের পরিমাণটাও তত বেশি।
পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর জীবাণু হলো মায়া! যা মানুষকে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে মারে! মানুষ মুগ্ধ হয় চেহারায়! আর আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম তার মায়ায়। মায়া কাটানো শেখো, কারণ তোমার এগিয়ে যাওয়ার পথে একমাত্র এগুলো বাঁধা হতে পারে! মায়া জিনিসটা খুবই মারাত্মক! তবে চেহারার মায়ার থেকে কথার মায়া আরও বেশি মারাত্মক। কারো প্রেমে পড়লে তাকে ভোলা যায়!! কিন্তু নির্দিষ্ট কারোর মায়ায় আটকা পড়লে, তাকে আর কোনোদিন ভোলা যায় না। কারোর প্রতি যদি মায়া বেশি হয়ে যায়, তাহলে সে আবেগের সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামতো ঠকিয়ে চলে যাবে।
মায়া হলো কালো জাদুর মতন! যা ধীরে ধীরে মানুষটাকে নিঃশেষ করে দেয়। এই শহরে বেঁচে থাকতে হলে মায়া ত্যাগ করতে হবে, নয়তো পাক্কা অভিনয় জানতে হবে! ভালোবাসা এমন এক মায়া, তুমি যতদূর যাবে, তত কাছে টানবে, যতই ভুলে যাবে, ততই মনে পড়বে, আর যতটুকু হাসবে তার চেয়ে বেশি কাঁদবে..! চেহারা দেখে ভালোবাসলে-ই, সে কবে ভুলে যেতাম! মায়ায় পড়ে ভালোবেসে ছিলাম, তাই তো আজও ভুলতে পারিনি। ড্রাগস নয়! পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে নেশা হচ্ছেÑ মানুষের প্রতি মানুষের মায়া। মায়া যাকে করবে, সেই তোমাকেই সব থেকে বেশি কষ্ট দেবে! আর এটাই বাস্তব।
মায়া হলো সব আনন্দের শুরুর ধাপ।
সত্যকে ধরে রাখার চেয়ে মায়া থেকে বের হয়ে আসাই প্রকৃত জ্ঞানীর পরিচয়। প্রত্যেক মানুষের প্রতি এক অন্য রকম মায়া কাজ করে যখন আমরা তাদের সাথে দেখা করি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মায়া হয় তখন যখন ছেড়ে যাওয়ার সময় চলে আসে। মানুষ সত্যকে শুনতে চায় না কারণ তারা তাদের মায়া কাটিয়ে উঠতে চায় না। শয়তানের কথাতেও এক প্রকার মায়া কাজ করে। বাস্তবতাও এক প্রকার মায়া যা কাটানো যায় না। মায়ার অনুপস্থিতিতে বিশ্বাসও এক প্রকার মায়াই। নিজেকে মায়ার পেছনে লুকিয়ে রাখার মানে হলো পেছনে পড়ে থাকা। মায়ার প্রতি মানুষের আকর্ষণকে কখনোই তুচ্ছ ভাববেন না। আনন্দের প্রতি সবচেয়ে বড় বাধা দুঃখ নয়, এটা হলো মায়া না কাটিয়ে উঠতে পারার অক্ষমতা। ভালোবাসা হলো এমন এক মায়া যা প্রত্যেক মেয়েতেই ভিন্ন ভিন্ন। সত্য কিছু সময় ব্যথা দিতেই পারে তবে মায়াতে থাকা মিথ্যা ক্ষতি করতেও পারে। এক মানুষের কাছে বিশ্বাসের বস্তু হলেও তা অপরের কাছে কেবলই মায়া।
কেউ তোমার মায়া কাটিয়ে দেবে না। তোমাকেই তা কাটিয়ে উঠতে হবে। ভালোবাসা হলো এমন এক মায়া যা কেবল বিয়ের মাধ্যমেই কাটিয়ে তোলা সম্ভব। মায়াকে অস্বীকার নয় বরং কাটিয়ে উঠার নামই প্রকৃত জ্ঞানীর পরিচয়। পৃথিবীর সব কিছুরই এক আপন মায়া আছে যা মানুষকে তার প্রতি আকৃষ্ট করে। মায়া ছাড়া পৃথিবীতে এত ভালোবাসার সৃষ্টি কখনোই হতো না। মানুষের মায়া ব্যতীত আমরা কখনোই পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারতাম না। পৃথিবীতে অসীম প্রেম হচ্ছে ধ্রুব সত্যি। বাকি সবই হচ্ছে অনন্তকালের মায়া।
নির্দিষ্ট কারো মায়ায় আটকে যাওয়া মানুষগুলো খুব অসহায়। এই যে আমরা জীবনে কল্পনার জগতের মায়ায় আটকে থাকি। যেখানে সবচেয়ে দুর্দান্ত কিছু বিষয় হচ্ছে বাস্তবতাকে খুঁজে পাওয়া। যেদিন থেকে তোমার মায়ায় আমার দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়েছিল। সেদিনই বুঝেছিলাম আজ থেকে আমার সর্বনাশের যাত্রা শুরু হলো। তোমাকে এক পলক দেখার মায়ায় আমি কত শত বিষাদ মুহূর্ত পার করে এসেছি। তবুও তুমি সবকিছুর বিনিময়ে সর্ব সুখী হও।
এত কিছুর পরও তোমার মায়া আমি কাটিয়ে উঠতে পারিনি। তোমাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আমার অনুভূতিগুলো বুঝি আরো বেশি সতেজ হয়ে উঠছে। দিনকে দিন কারো প্রতি আপনার মায়া জেগে উঠতে থাকলে। আপনি বুঝতে পারবেন যে, নিঃস্বার্থভাবে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার সময় এসে গেছে। মায়াহীন মানুষকে পশুর সাথে তুলনা করা হয়। অথচ কারো মায়াকে অবজ্ঞা করা মানুষটাকে অমানুষ বলে বিবেচনা করা হয় না। তোমার প্রতি আমার প্রচণ্ড মায়া কাজ করে বলেই আমি আমার ভেতরেও তোমার ছায়া দেখতে পাই। তুমি প্রেমিকা কিংবা অনামিকা হও, তা-ও তুমি আমার।
আমার হৃদয়ে এক সমুদ্র শূন্যতার ছদ্মবেশ ধারণ করার জন্য হলেও তোমার মায়া প্রয়োজন। তা না হলে এই সমুদ্র যে মরুভূমি হয়ে যাবে। কারো প্রতি অগাধ মায়ার বশবর্তী হয়ে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়াটা চরম বোকামি। আপনি অবশ্যই কাউকে ভালোবাসুন, কিন্তু নিজের অস্তিত্ব সংকট তৈরি করে নয়। কারো প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণ হলো মোহ মায়া। আর একবার এ মায়া তৈরি হলে সারা জীবনেও সেখান থেকে বের হওয়া যায় না। তোমার চোখের তীব্র মায়া যেন এক ভালোবাসার বিষ মাখানো তীর। একবার চোখে চোখ রেখেই আমার হৃদয়কে এফোড় ওফোড় করে দিয়েছে।
শেষ পর্যন্ত কারো মায়ায় ডুবে যাওয়ার পরিণতি খুবই করুন হয়। যেখানে শেষ পর্যন্ত এক তরফা ভালোবাসা জিতে যায়। কারো মায়ায় পড়ে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনার চেয়ে একা থাকাই হয় তো শ্রেয়। এ ক্ষেত্রে অন্তত ছলনার আশ্রয় নিতে হয় না। কেউ যখন জ্ঞানের মায়ায় পড়ে। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়গুলোও তার চোখে ধরা পড়ে। এক নারীর মায়ায় আসক্ত একজন প্রেমিক পুরুষ বরাবরই খুব সুন্দর মনের অধিকারী। একজন ছাড়া সে অন্য কাউকে অধিকার করতে চায় না। জীবনে অনেকগুলো বসন্ত পার করে এসে আমি তোমার মায়ায় পড়েছি। এত সহজে আমি তোমাকে হারাতে দেবো না।
তোমাকে পাওয়ার আশায় যে মায়া তৈরি হয়েছে। তা বাড়বে বৈকি কখনো কমবে না। কতটা মায়ায় পড়লে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের হৃদয়কে নিজের মধ্যে ধারণ করে? আর মায়ায় পরে এই বিনিময় প্রথা দিয়েই ভালোবাসা তৈরি হয়। ভালোবাসার মায়ায় পড়ে কত প্রেমিকাই মায়াবতী হয়ে উঠেছিল। যেখানে প্রেমিকের দৃষ্টি পরা মাত্রই প্রেমিকার ঠোঁটে এক নির্মল হাসি ধরা পড়েছিল। এই পৃথিবীতে আমরা একাই জন্মগ্রহণ করি। আর ছোট জীবনে একটু সুখী হওয়ার জন্য অস্থায়ী মায়া তৈরি করে থাকি। হে মায়া তুমি নিঃস্ব করেছো আমায়, নিদারুণ নিষ্ঠুর ছলনায়।