কী এক বোহেমিয়ান চাতুর্য নিয়ে
আকণ্ঠ আমি এই
নিঃসীম আলোআঁধারের শিল্পকলায়
নিমগ্ন হয়ে আছি।
বাস্তবিক, সময় নেই আমার!
বিলকুল নিজেকে ছাড়িয়ে
সটান আছি দাঁড়িয়ে
নিজের সত্ত্বাকে ভেঙ্গে
অস্তিত্বকে চুরমার করে
মননকে একেবারেই দলে মুচড়ে
এ সময়ের চৌকাঠে পা রেখে আমি।
আঙ্গুল ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঋষির মত
আমার বয়সের জীবাশ্ম করি গণনা।
যেন কত মহাকালের সাক্ষী
যেন জগতের আদিপর্বের
নীরবদ্রষ্টা হয়েই এ যাবত
টিকে আছে সমস্ত হাড় মাংস নিজের।
কত পথ হারিয়ে
কত চিলেকোঠার অলিন্দ পেরিয়ে
যুগান্তরের সিঁড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে
লোনায় ধরা যাপিত দেয়ালের
পলেস্তরা সমেত
নেমে এসেছি এক ঘুলঘুলিতে।
পায়ের নিচে স্যাঁতস্যাঁতে বর্তমান দেখে
বারবার শিউরে উঠি।
আমার জীবাশ্মে বোধ করি
পরজীবী গেঁড়েছে আস্তানা
নীরব সময়ের বীভৎস পেন্ডুলাম
বিস্তর অণুজীব বিনা রক্তপাতে
নিজেদের বসত করেছে রচনা।
এখানেই আমি দুর্বল।
আমার রচিত জগতের দিবালোকে
নিজেকে আর পারছিনা করতে পরখ।
প্রশ্ন জাগে, এই কি আমি?
এই কি আমি মহামারীর ডামাডোলে
একেবারেই নিজে
নিয়ন্ত্রণহীন পথের বাঁকে
খেই হারিয়ে মহাকালের কোন নর্দমায়
স্বপ্ন নিয়ে আকণ্ঠ ডুবে আছি?
তারপর। বারবারই আবিষ্কার করি,
এই ঋষি আমি অলীক বাস্তবতা নিয়ে
একেবারেই কপর্দকহীন
অবাস্তব সব স্বপ্ন নিয়েই
যত লাভা, যত আবর্জনা সমেত
পরম সুখে নিজের মাঝে নিজেই
নিমজ্জিত হয়ে আছি।