সম্প্রতি নিজেদের নতুন ‘এক্সট্রাভেইকুলার অ্যাক্টিভিটি স্যুট’ দেখিয়েছে ইলন মাস্ক মালিকানাধীন মার্কিন বাণিজ্যিক রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স।
এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘মানুষের স্পেসফ্লাইট সক্ষমতা জোরদার’ করতে নতুন এক প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছিল স্পেসএক্স ও জনহিতৈষী উদ্যোক্তা ও ‘ইন্সপিরেশন৪’ মিশনের কমান্ডার জ্যারেড আইজ্যাকম্যান। এর লক্ষ্য, পৃথিবীতে গুরুত্বপূর্ণ দাতব্য ও মানবিক বিভিন্ন উদ্যোগকে সমর্থন করা। প্রকল্পটির নাম ‘পোলারিস প্রোগ্রাম’।
সম্প্রতি একটি প্রেস বিবৃতিতে পোলারিস প্রোগ্রামের নভোচারীদের জন্য নতুন স্পেসস্যুট আনার ঘোষণা দিয়েছে স্পেসএক্স। কোম্পানির ব্যাখ্যানুসারে, এগুলো পরে নভোচারীরা তিনটি মহাকাশ মিশন পরিচালনা করবেন, যার মধ্যে প্রথমটি হতে পারে এ গ্রীষ্মেই!
এইসব মিশন মূলত নাসার ‘কমার্শিয়াল ক্রু ডেলিভারি (সিসিডি)’ প্রকল্পের অংশ, যেখানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারী পাঠানোর জন্য নাসার কাছ থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে স্পেসএক্স-এর ‘ক্রু ড্রাগন’ ক্যাপসুল।
স্পেসএক্স-এর প্রেস বিবৃতি অনুসারে, নতুন স্যুটগুলো তাদের ‘ইন্ট্রাভেইকুলার অ্যাক্টিভিটি (আইভিএ)’ স্যুটেরই বিবর্তন, যা এখন ব্যবহার করছেন ড্রাগন ক্রু’র সদস্যরা।
এদিকে, ‘ডেমো-২’ মিশনের সদস্যরাও এই স্যুটের আগের সংস্করণ পরেছেন, যা ২০১১ সালে ‘স্পেস শাটল’ অবসরে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের মাটি থেকে পরিচালিত প্রথম যাত্রীবাহী মিশন ছিল।
এ ছাড়া, ‘ইন্সপিরেশন৪’ মিশনের সদস্যদেরও স্যুটটি ব্যবহার করতে দেখা গেছে, যা বিশ্বের প্রথম অসামরিক নাগরিকবাহী মিশন হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছিল।
নতুন স্যুটটিকে ডাকা হচ্ছে ‘এক্সট্রাভেইকুলার অ্যাক্টিভিটি স্পেস স্যুট’ নামে, যেটিতে বেশ কিছু নতুন ফিচারও যোগ করা হয়েছে।
স্যুটগুলোর আত্মপ্রকাশ ঘটবে তিন পোলারিস মিশনের প্রথমটিতে, যা ‘পোলারিস ডন’ নামে পরিচিত। মিশনটি বাস্তবায়িত হতে পারে এ গ্রীষ্মেই, যেখানে ‘ফ্যালকন ৯’ রকেটে করে একটি ক্রু ড্রাগন উৎক্ষেপণ করতে দেখা যাবে।
এ মিশনের সদস্যরা কক্ষপথে পাঁচ দিন সময় কাটিয়ে পৃথিবীর সর্বোচ্চ কক্ষপথে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইউনিভার্স টুডে।
ঠিকানা/এসআর