মুষলধারে বৃষ্টি হয়, থেমেও যায় আকাশ পরিচ্ছন্ন হলে।
তুমিও শোকার্ত হও, অশ্রু ঝরাও, হাসতেও দেখি যা দেখে
দুর্বোধ্যতায় উদ্বিগ্ন হই ঔপন্যাসের রহস্যময়তার মতো।
বর্ষায় নদী যৌবনকে খুঁজে পায় তাই সে অববাহিকা,
তোমার চোখের জল শেষ পর্যন্ত কপোলেই শুকায়
সেখানে কোনো অশ্রুনদী নেই, শুধুই অনুভূতি নিরবধি।
মায়াকান্নায়ও অশ্রু ঝরে সব কান্নার মতো,
কিন্তু যে ক্রন্দন সবকিছুর মধ্যে অহরহ বিদ্যমান
তার তুলনা জলপ্রপাতের জলীয় শব্দের মতো।
রাত অন্ধকার হলে সবুজ পাহাড় কালো চাদরে গা ঢাকে,
নির্জন নিস্তব্ধতায় নিশাচরদের অদ্ভুত শব্দসমূহ
সমবেত কান্নার মতো কানে এসে বাজে,
দূর মিনার থেকে ভেসে আসা ফজরের আজান শোনে
ঘরবৈঠকি অচল বৃদ্ধরা স্বগত সংলাপে কাঁদে-
‘দেখতে দেখতে জীবন বুঝি ফুরিয়ে গেল!’
বৃষ্টি থেমে গেলে পালিয়ে যায় তন্দ্রাচ্ছন্নতা,
মেঘমল্লার যবনিকায় স্থলাভিষিক্ত হয়ে অন্য রাগ
অষ্টপ্রহর বিন্যস্ত রাখে মুহূর্তের পরম্পরায়।
অধিক শোকের পাথরও প্রসন্ন হয়ে ওঠে
শেষাবধি অজস্র অশ্রুধারার পর।
তুমিও একসময় সবকিছু ভুলে গিয়ে
নিজেকে মানিয়ে নেও স্বচ্ছন্দের সহজ পথে।