গ্রীষ্মের উষ্ণতা আর শীতের শীতার্ত পথের মাঝখানে
বসন্তের নাতিশীতোষ্ণতায় প্রেমের প্লাবনে প্লাবিত হই
শুধুই ভেসে বেড়াই অতৃপ্ত স্বপ্নীল স্বপ্নের ভেতর
প্রত্যাশার অসমাপ্ত পথে যে সৌন্দর্যের সুবাস ছড়ায়।
শীতের চাদরের শেষ প্রান্তে বাসন্তী রঙের স্পর্শ
উতালা বাতাসের মতো সাগরের ঢেউয়ের দোলায়
পুলকিত মানস সৈকতকে উন্মত্ত করে তোলে।
তুমি দাঁড়িয়ে আছ যেখানে সেখানেও তোমাকে
হিমেল বাতাসে কাঁপায়, ফাগুনের পরিমলে ভাবায়,
বর্ষায় বৃষ্টির সাথে অশ্রু ঝরায়।
যে পথ গন্তব্যের টিলা অতিক্রম করে
অনেকগুলো সিঁড়ি যেখানে শেওলার সবুজ দাগ
নিঃশব্দ চরণের নকশি আবরণ হারানো দিনের খোঁজে
নস্টালজিক বিড়ম্বনাকে সুখ-দুঃখের দোটানায় জড়ায়।
বসন্তের পরিক্রমায় স্মৃতির পুরোনো সিঁড়ির ধাপগুলোতে
হেমন্তের পাতাঝরার শোক আসে দীর্ঘশ্বাসে।
চেনা পথের সিঁড়িগুলো আজও আছে
আছে নারিকেল গাছের পাতার বীজন,
রাত হলে পাকা আমের গন্ধ পেয়ে
বাদুড় ঝুলতে আসে গাছের শাখা দুলাতে।
কদাচিৎ এ পথে তোমাকে আসতে হয় যেমন
আমারও আসা যাওয়া তেমন,
সিঁড়ির উপরে পা রাখলেই স্মৃতি এসে গান শোনায়Ñ
‘কত দিন পরে এলে, একটু বসো...।’