শেষ চৈত্রের মধ্যরাতের দ্বিপ্রহরের,
কালবৈশাখের প্রথম লগ্নে
অপয়া আমার জন্ম হলো!
রাজ্যে তখন তীব্র জলের সংকট
দাবদাহের করাল ছোবল,
প্রাণ নিয়েছে অষ্টপ্রহর,
হাহাকারের আত্মকথন।
ঘর ভেঙেছে বাবুই পাখির
ঘরের ছাতি ছড়িয়ে গেছে
বুনোজলের স্পর্শ পেতে।
ছিলেম না ঘরের আলোকবিন্দু,
প্রণতির এক ফোঁটা শিশির জল :
অনাগত অবিদিতার ছন্দপতন
মূর্তিমানের অপূর্ণা এই রিক্ত রোজী।
নিজেই আমি নিজের প্রতি
প্রচণ্ড এক আক্ষেপে!
তীব্র ঝড়ে ঝাণ্ডাধারী অপ্রসন্ন অবনয়ন।
আসমুদ্র কষ্টগুলো জড়িয়ে ধরি,
নেই কোথাও নেই জেনেও যেন
সুবর্ণ আলোয় এই মুখ লুকাতে।
তবুও ভাবনাটা যখন মধ্যমায় এসে,
আকুল নয়ন পিছু ফিরে,
আয়নায় মাঝে দেখছি আমায়
সং এর সারে সেজেই গেছি
মুখোশ পরে রঙিন সাজে।