Thikana News
০৪ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪
কুকি-কেএনএফ, চীন-মিয়ানমার-ভারত ক্যাঁচাল : বাংলাদেশের আদি ঘায়ে নয়া মলম

অসময়ে ঢাকায় আজরাইলের ডানা

অসময়ে ঢাকায় আজরাইলের ডানা
বান্দরবানের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) দমে যাওয়ার অপেক্ষার সময়ে উল্টা চিত্র। শান্তিবাহিনীর এই অপভ্রংশটির সঙ্গে আপসরফা বৈঠক চলছিল গত কয়েক দিন ধরে। এর মাঝেই ব্যাংক লুট, ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশ-সেনাবাহিনী-বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিসহ নানা ঘটনার যজ্ঞ। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে ২০২৩ সালের জুন মাসে ১৮ সদস্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। এর পর থেকে দফায় দফায় দুই পক্ষে বৈঠক হয়েছে। কিছুটা আশার আলো দেখা যেতে থাকে। এর মাঝেই হঠাৎ চরমপন্থা কেএনএফের। গত বছরের এপ্রিল মাসে রক্তাক্ত হয়েছিল বান্দরবান। ৭ এপ্রিল রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খামতাংপাড়া এলাকায় একসঙ্গে পড়েছিল আট লাশ। পাহাড়ের দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এবং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) মধ্যে গোলাগুলিতে রক্তাক্ত হয় পাহাড়ি জনপদ।
এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি- কেএনএ’ নামে ফেসবুক পেজ থেকে গত ১২ মার্চ এক পোস্টে ‘চুক্তি ভঙ্গ করে বম সম্প্রদায়ের নিরীহ জনগণের ওপর হামলার খুব সুন্দর ফিডব্যাকের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ওই হুমকির পরই ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা। এর আগে শান্তি সংলাপ চলাকালে কেএনএফ কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারবে না, চাঁদাবাজি করবে না, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালাবে না, ঘরবাড়ি ছাড়া বমরা তাদের ভিটামাটিতে ফিরে আসবে- এ ধরনের কিছু শর্ত ছিল। সব ঠিকঠাকমতোই এগোচ্ছিল। অবশ্য তা নাথান বমকে বাদ দিয়ে। কেএনএফের সঙ্গে দুটি বৈঠকের কোনোটিতে নাথান বম ছিলেন না। প্রতিনিধিত্ব করিয়েছেন, তার ব্যক্তিগত সহকারী ভাপুওয়াল ও সংগঠনের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মইয়াকে দিয়ে। মইয়া নিজেকে কথিত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও ভাপুওয়াল ‘কর্নেল’ হিসেবে পরিচয় দেন। তাদের একটি আচানক দাবি ছিল, পার্বত্য এলাকায় কয়েকটি উপজেলা মিলে ‘টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল’ গঠন। এ কাউন্সিলে বাংলাদেশ সরকারের কোনো কর্তৃত্ব থাকবে না। কোনো মন্ত্রণালয়, জেলা পরিষদের আওতাধীন থাকবে না কাউন্সিল। সেখানে কেএনএফের নিজস্ব একটি ব্যাটালিয়ন থাকবে, যা প্রকারান্তরে স্বায়ত্তশাসনই। এ নিয়ে একটি নতুন বিভ্রান্তি জন্ম নেয়। তবে চরিত্র বা মুখগুলো অভিন্ন। নতুন করে আবার সামনে আনা হয় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার ছাত্র থেকে পাহাড়ের ত্রাস’ হিসেবে প্রচারিত নাথান বমের নাম।
তারই একসময়ের গুরু পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমাকে টেক্কা দিতেই মূলত নাথান বামকে ফ্রন্টে তাগড়া করা হয় সরকারি বাহিনীর কেয়ারঅফে। খাগড়াছড়ির চেঙ্গী স্কয়ারের পাশে সন্তু লারমার ভাস্কর্যটি নির্মাণের অন্যতম কারিগর নাথান বমই। কেএনএফ সম্প্রতি সংগঠনের নামে ফেসবুকে একটি পেজ খুলে দাবি করেছে, রাঙামাটি ও বান্দরবান অঞ্চলের ছয়টি জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছে তারা। সেগুলো হলো বম, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, ম্রো ও খুমি। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম-এই উপজেলাগুলো নিয়ে আলাদা রাজ্য গঠনের দাবি তাদের। এসব দাবি নিয়ে কিছুটা দেনদরবারের মাঝেই আবার সহিংসতা। পুরোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্রোহ অবসানে বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি হয়, যা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জনগণ ও উপজাতিদের অধিকারের স্বীকৃতি দেয়। শান্তিবাহিনী ও সরকারের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলা বিদ্রোহের অবসানও ঘটে। আবার থেমে থেমে সহিংসতাও চলে। ওই চুক্তির সময় ভূরাজনীতি ছিল একরকম। চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছিল তখন সখ্য। এখন চরম দ্বন্দ্ব।
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সালে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি-আইপিএস ঘোষণা করে। যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত এই উদ্যোগে জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া যুক্ত আছে। আইপিএসকে এই অঞ্চলে চীনের অগ্রগতিকে প্রতিহত করার চেষ্টা বলে মনে করে বেইজিং। ২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে আইপিএসের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার কথা বলে আসছে। বাংলাদেশ‌ও গত সংসদ নির্বাচনের আগে এতে যুক্ত হ‌ওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কার্যত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার বহুল আলোচিত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর কৌশল বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। এর পথে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনকে। অন্যদিকে ভারতকে আখ্যায়িত করা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান অংশীদার ও নেতা হিসেবে। ‘অকাস’, ‘কোয়াড’ এবং ‘আসিয়ান’ জোটকে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের আধিপত্যবিরোধী কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ৫৮ শতাংশ যুবকসহ বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের বসবাস। বৈশ্বিক জিডিপির ৬০ শতাংশ আর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ২/৩ শতাংশ আসে এই অঞ্চল থেকে।
আমেরিকানদের দৈনন্দিন সমৃদ্ধি নানাভাবে ইন্দো-প্যাসিফিকে যুক্ত। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বোমা বর্ষণের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মনে করিয়ে দেয়, দেশটি কেবল এশিয়ায় থাকলেই নিরাপদ হতে পারে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি অবস্থান এবং প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। বাইডেন প্রশাসন উত্তর-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে দক্ষিণ এশিয়া ও ওশেনিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জসহ এ অঞ্চলের প্রতিটি জায়গায় দৃষ্টি ফেলেছে। এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ‘বার্মা অ্যাক্ট’ করেছে। এ যেন ইতিহাসের প্রত্যাবর্তন। ৮৭ বছর আগে ভারত থেকে ওই অঞ্চলকে আলাদা রাখতে ১৯৩৫ সালে এ অঞ্চলের ঔপনিবেশিক শাসক ব্রিটিশরা আরেকটি ‘বার্মা অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করেছিল। ‘বার্মা অ্যাক্ট’ বলতে ব্যাপক সামরিক জবাবদিহির অধীনে এনে ‘মিয়ানমারকে ঐক্যবদ্ধ’ করতে চায় বাইডেন প্রশাসন।
নিশ্চিতভাবে এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আরও সরাসরি যুক্ত হয়ে গেছে। যদিও এই সম্পৃক্ততা ঘটবে তাদের ভাষায় ‘মানবিক সহায়তা’র মাধ্যমে। কিন্তু এ-ও প্রকাশ্যে বলা হচ্ছে এবং বিলেও আছে, মিয়ানমারের ভেতরকার গণতন্ত্রের সংগ্রামকে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় সহায়তা দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্রমবর্ধমান কার্যকলাপ চীন আমলে নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত বরাবর সরাসরি সহায়তা দেওয়ার ফলে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তুয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। মূলত চীন সমর্থিত আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে এখন রাখাইন। বিশ্বে নতুন স্নায়ুযুদ্ধের সময় পুরোনো মাথাব্যথা জেগে ওঠার একটি রিহার্সাল ফিল্ড বান্দরবানসহ পার্বত্যাঞ্চল। এ নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে গরম কথার এক মচ্ছব চলছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কেএনএফের কাছে একটি প্রতিবেশী দেশের অস্ত্র আছে। তবে এটি কোন দেশ-ভারত, মিয়ানমার না চীন? তা খোলাসা করেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিরোধী দল বিএনপির কথা আরও ছাঁচাছোলা। বিএনপি বলছে, এর সঙ্গে সরকার ও গোন্দোদের সংযোগ আছে। সামনে তা আরও কত গড়াবে, এখনই বলা যাচ্ছে না। রমজান, ঈদ, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে দাবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। এই চাদর ঢাকার মাঝেই বান্দরবানে কুকি চিন-কেএনএফ কাণ্ড। বান্দরবান নিশ্চয় বাংলাদেশের বাইরে নয়। আবার ঢাকাই বাংলাদেশ নয়। এ অবস্থায় ঢাকনা দেওয়া নিরাপত্তার চাদরটার কী দশা? ভেতরগত তথ্য এখনো দুর্বোধ্য। তথ্য নিয়েও রয়েছে লুকোচুরি।

রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ছে কেএনএফ : বান্দরবানে সৃষ্ট অস্থিরতার নেপথ্যে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। ক্রমেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ছুড়ছে চ্যালেঞ্জ। হামলা, লুটপাট, অপহরণ সবই করছে সংগঠনটি। গত বছর থেকেই শুরু হয় কেএনএফের সশস্ত্র কর্মকাণ্ড। ‘নো ফুল স্টেট, নো রেস্ট’ অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র ব্যতীত অবসর নয়- এমনটাই বলছে তারা। সেনাবাহিনীর আদলে পরছে ‘কমব্যাট’ পোশাকও। সবুজ ঢেউয়ের ওপর নীল আবহের মাঝখানে সাদা তারকাসংবলিত একটি পতাকাও তৈরি করেছে তারা। সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে এখন স্থানীয়দের ধারণা, শান্তিচুক্তির আগের অবস্থায় ফিরছে বান্দরবান।
জানা যায়, রুমা ও থানচি উপজেলায় কেএনএফের হামলা, ব্যাংক লুট, নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যের অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় জেলাজুড়ে বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই র‌্যাবের মধ্যস্থতায় অপহৃত সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযানও শুরু হয়েছে। ৭ এপ্রিল রোববার বিশেষ যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বম (৫৫)। চেওসিম বম বান্দরবানের সুয়ালক ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যারণ পাড়ার মৃত বোয়াল কুম বমের ছেলে।

কেএনএফ কারা?: ২০২২ সালের গোঁড়ার দিকে নতুন সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের নাম প্রকাশ্যে আসে। জানা গেছে, বান্দরবানের বম জনগোষ্ঠীর কিছু সদস্য এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছে। একটি ফেসবুক পেজ খুলে বান্দরবান ও রাঙামাটির নয়টি উপজেলা নিয়ে পৃথক রাষ্ট্রের দাবি জানানোর পর দলটি সামনে আসে। উপজেলাগুলো হলো রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম। তারা দাবি করে, তারা ছয়টি জনগোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব করে- বম, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, ম্রো ও খুমি। সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কয়েকটি বিবৃতিতে কেএনএফ জানায়, তারা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) নামে একটি সশস্ত্র দল গঠন করেছে। তারা আরও দাবি করে, তাদের সামরিক শাখার ১০০ জনেরও বেশি সদস্য তিন বছর আগে গেরিলা প্রশিক্ষণ নিতে মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে গেছে। একটি প্রশিক্ষিত দল ২০২১ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসে এবং ২০২২ সালে তারা আত্মগোপনে চলে যায়। বান্দরবানের রুমা উপজেলার এডেনপাড়ার নাথান বম এই সংগঠনের প্রধান।

 

কমেন্ট বক্স