আলো এবং অন্ধকার
সে আছে তারই মত
তার সাথে আমার দূরত্ব
ঠিক এক পার্টিশন ওয়ালের মত,
সে গুণগুনিয়ে গান গাইলে
আমি গান শুনি
সে নেটে থাকলে
আমিও নেটে থাকি,
এক পার্টিশন ওয়ালের তফাৎ থাকলেও
নেটের আয়নায় আমরা একে অপরের মুখ দেখি।
উৎসব দেখা
আঁধার হয়েছিল বলে
বাগানের হাইহিলের চড়ায় উঠে
আলো দেখতে গিয়েছিলাম,
সার্চ লাইটের আলোটা হাইব্রিড ল্যাম্পের গুণে
তীক্ষè হয়ে চোখ ঝলসে দিচ্ছিলো,
দারোয়ান বেটা নিচেই দাঁড়িয়ে ছিলো
আমায় দেখে সে উপরে উঠে এসে
জোর-জবরদস্তি নিচে নামিয়ে দেয়, এবং
কর্তার সুরে বলে-
‘কোন রত্ন দেখতে গিয়েছিলে তুমি পাহাড় চূড়ায়Ñ
জানো না ধর্ম যার উৎসব তার
এত স্পর্ধা তুমি পেয়েছো কোথায়?
বাস্তব এবং পরাবাস্তব
ভাঙা বাড়ি, ভাঙা ঘর, ভাঙা সংসার
ভাঙা বাঁশি, ভাঙা আয়না
ভাঙচোড়া সব জীবনের বেড়া
একত্র করে নিয়ে এক
গানের কারিগর
ভাঙা নদীর পাড়ে বসে গানের আসর বসান।
সেই পথ ধরে ন্যাড়ামাথা চাঁছাছোলা
এক অধিপতি সুগন্ধি তেল মেখে
তীর্থ ভ্রমণে যান।
মনে মনে ভাবেন- ইহকাল-পরকাল
সব শেষ করে দিলো এই বেটা নরাধম;
স্তুতির বদলে চীৎকার তুলে
মুখে আনেল খেদ আর প্রলাপ।
লোকে বলে-
তখন থেকে কদলীর বেড়া ভেঙে
দাঁত বের করে আছে দুইখান!
উপহার
আপনার স্তুতিগান করতে গিয়ে
ভুল, শুদ্ধ যা বলেছি
তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মন খুলে দিয়েছেন
যৎসামান্য কিছু উপহার
মহামান্য অধিপতি মহোদয়।
সেই মূল্যবান উপহার
কোথায় রাখি বলুন?
না আছে আমার বাড়ি
না আছে ঘর,
শূন্য গোলার চিলেকোঠায় ইঁদুর উঠে
ঘর বেঁধে আছে জন্ম জন্মান্তর।