সিরাজগঞ্জ জেলা সমিতির বর্ণাঢ্য অভিষেক অনুষ্ঠিত হলো গত ২৭ জানুয়ারি শনিবার নিউইয়র্কের উসাইডে গুলশান টেরেসে। হল ভর্তি প্রবাসী সিরাজগঞ্জবাসী ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে তুমুল করতালির মধ্যে সংগঠনের কর্মকর্তারা অভিষিক্ত হন।
নিউইয়র্ক শহরেই সিরাজগঞ্জ জেলার প্রায় সাড়ে তিন হাজার প্রবাসী বাস করেন। গত ২০টি বছর ধরে সংগঠনটি ঐক্য, সংহতি ও ভাতৃত্বের বন্ধনে এগিয়ে চলেছে। শূন্য ডলারের তহবিল থেকে ধীরে ধীরে প্রায় ৫০ হাজার ডলারের ফান্ড তৈরি করেছে। কবর কিনেছে শতাধিক। নিজেদের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা ও কিছুটা অস্থিরতা থাকলেও সমিতির ঐক্যের ব্যাপারে সবাই অতন্দ্র প্রহরী। অভিষেক অনুষ্ঠানে অনেক বক্তাই সিরাজগঞ্জ জেলা সমিতির নেতৃবৃন্দের এ জন্য প্রসংশা করেছেন।
গেল বছরের শেষভাগে সমিতির নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পদক নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে সংগঠন বান্ধব আব্দুর রউফ লেবু ও নাদির উজ্জ্বল। সভাপতি লেবু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও সাধারণ সম্পাদক নাদির উজ্জ্বল ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল হাসান মুন্সীকে সরাসরি ভোটে নির্বাচন করে জয়ী হতে হয়।
প্রবাসে ঐক্যের প্রতীক সিরাজগঞ্জ জেলা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান ছিল সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর। আর এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশা হোম কেয়ারের সিইও লায়ন আকাশ রহমান। সিরাজগঞ্জ সমিতির নেতৃবৃন্দ অভিষেক অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য আকাশ ও এশা রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। অনুষ্ঠানটি দক্ষতার সাথে পরিচালনা করেন নর্থবেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বৃহত্তর সিরাজগঞ্জের সন্তান আবুল কাশেম। তাকে সহযোগিতা করেন মহিউল ইসলাম মনি ও রেজোয়ানা রাজ্জাক সেতু। প্রথম পর্বে নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার গনেশ নাথ চৌধুরী নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার উত্তম কুমার সাহা ও সাইফুল ইসলাম। বিদায়ী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে কামরুজ্জামান কামরুল এবং মৌসুমী খান তাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
দ্বিতীয় পর্বে প্রধান অতিথি আকাশ রহমানসহ বিশেষ অতিথিরা মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। এতে বক্তব্য দেন আকাশ রহমান, সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী, এশা রহমান, ফাহাদ সোলায়মান, নর্থবেঙ্গল সোসাইটির সভাপতি রাফেল তালুকদার, আতাউল আলম, আশরাফুজ্জামান আশরাফ, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক, রুহুল আমিন সরকার, পাবনা সমিতির সভাপতি কামাল পাশা, ডা. সোহেল, এরশাদ রোকনী ও মোহাম্মদ আল আমীন। তৃতীয় পর্বে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন জনপ্রিয় শিল্পী শাহ মাহবুব ও শশী। অভিষেক অনুষ্ঠানকে সফল করার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল একটি আহবায়ক কমিটি। এর নেতৃত্বে ছিলেন ইহতিশামুল হক রোকনী (আহবায়ক), মহিউল ইসলাম মনি (যুগ্ম আহবায়ক), মোমিন মানিক (যুগ্ম আহবায়ক), মাসুদ রানা (যুগ্ম আহবায়ক), রেজোয়ানা রাজ্জাক (সদস্য সচিব), জহুরুল ইসলাম সুজন (যুগ্ম সদস্য সচিব), মাহবুবুর রহমান প্রিন্স (যুগ্ম সদস্য সচিব), জহুরুল ইসলাম টিপু (যুগ্ম সদস্য সচিব), ও আব্দুল হালিম (যুগ্ম সদস্য সচিব)।