ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে গত বছর মে মাসের গোড়া থেকে জাতিগত সহিংসতা চলছে। এতে অন্তত ২শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে আর ঘর ছাড়তে হয়েছে কয়েক হাজার মানুষকে।  তবে সেখানে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় মিয়ানমারের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন ওই রাজ্যের একজন নিরাপত্তা উপদেষ্টা। বুধবার মণিপুরের সীমান্তবর্তী শহর মোরে পুলিশ কমান্ডোদের ওপর হামলা হয়। এতে দুই কমান্ডো নিহত হন। 
এ বিষয়ে মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং বলছেন, এই ঘটনায় মিয়ানমারের জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। 
 
তার এই মন্তব্য কুকিদের নতুন করে ‘রুষ্ট’ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ কুকিদের অভিযোগ, মণিপুর সরকার উপত্যকার বাহিনীর (মেইতেই) বিরুদ্ধে লড়াই করা ‘স্বেচ্ছাসেবক’দের বিরুদ্ধে অত্যাচার চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবারও সে রাজ্যের বিষ্ণুপুর জেলায় দু’পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে চার জন প্রাণ হারান। 
মণিপুর সরকার আগেও বলেছিল, এই রাজ্যে সহিংসতার নেপথ্যে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে ঢোকা অনুপ্রবেশকারীদের হাত রয়েছে। এই অনুপ্রবেশকারীদের মদতেই রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চল এবং কুকি জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে মাদক চাষের রমরমা, এমন মতও রয়েছে মণিপুরে।  
রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই গোষ্ঠীর অভিযোগ, গোষ্ঠীসম্পর্ক থাকার কারণে কুকি জঙ্গিদের একাংশ মিয়ানমারে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে।   
এদিকে বিদ্রোহীদের হামলার জেরে মিয়ানমারের অর্ধেক এলাকা সরকারি সেনার হাতছাড়া হয়েছে। উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম মিয়ানমারের শান, চিন আর সাগিয়াং প্রদেশ রয়েছে এই তালিকায়। এই পরিস্থিতিতে বিদ্রোহীদের একাংশ মণিপুরে গা ঢাকা দিয়েছে বলে মনে করছে মিয়ানমার প্রশাসন।
ঠিকানা/এসআর
 
                           
                           
                            
                       
     
  
 

 ঠিকানা অনলাইন
 ঠিকানা অনলাইন  
                                
 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                
