নন্দিনী মুস্তাফী
কী খুঁজে বেড়াই ফেবুর রঙিন পাতায়?
স্ক্রল করি ধীরে ধীরে-
কী সে অপেক্ষায় প্রতিক্ষণে?
কী এক মোহজাল আমায় টানে!
আমি কি ধীরেই বদলে যাচ্ছি পলে পলে?
যেভাবে অদলবদল হয়
ষড়ঋতু প্রতি বরষে।
আমি কি এক অসীম ধ্যানে
রাতজাগানিয়া গানের সুরের ভাঁজে,
এ-পাশ ও-পাশ করি নীরব হাহাকারে
বুকের বাঁ পাশের শূন্য খড়খড়ে বিলে
কে যেন খামচে ধরে চৌচির করে।
আমি হাঁসফাঁস করে জীবনের
সব প্রিয় মুখগুলো আকুল হয়ে;Ñ
জলে ডোবা চোখ দিয়ে খুঁজি।
আড়াই যুগ আগে চলে গেছে
জীবন আমার,
আর বছর দুয়েক হলো সতেজ নিঃশ্বাস!
আমি বেঁচে থাকি নির্জীব অশীতিপর
অশরীরী ছায়া হয়ে তাদের আশপাশে,
এটাকে কি শান্তির নিঃশ্বাস বলে?
আমি বাটন হাতড়ে ডায়াল করি আজো
ভুলেও যদি নাম্বারটায় রিং হয় একবার?
আমি নির্ঘুম রাতের গল্পগুলো
ছেঁড়া পাতার ডায়েরিতে আঁকিবুঁকি করি,
লাল, নীল, বেগুনি বিলাপে ভরে যায়
এলোমেলো লাইনের মিছিল।
ক্ষুদ্র পরিসরে চিড়িয়াখানার বন্দীদের মতো হতাশায় আক্রোশে নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে
আকণ্ঠ ডুবে যায় ক্ষরণের শ্লেষ্মায়!
আমি আকণ্ঠ নিমজ্জিত হই ফেবুতে
যদি নামের পাশে সবুজ বিন্দুটা
জ্বলজ্বল করে শুকতারা হয়ে?
চোখের পল্লব পড়ে যাবে বলে,
সচেষ্ট অনুভব থাকে মুঠো মশাল নিয়ে;
আমায় এড়িয়ে না যায় চলে
কোনোভাবে কস্মিনকালেই।
আসবে না আর কোনোকালেই ভাই আমার,
শুয়ে আছ এক ভীষণ শান্তির ঘুমে।
মধ্যরাতে যখন তখন বেরিয়ে পড়ি,
একাকী নির্জন নেগেটিভের শীতে।
এক বিন্দু ভয় নাই আজ বুকের ভেতর
তুমি শুয়ে আছ আঁধার ঘরে
আমার পথচলা তোমার রেখে যাওয়া পথে,
আমি খুঁজে যাই তোমায় অহর্নিশি,
যাব যেন জন্ম থেকে জন্মান্তর।