রহমান আতাউর
নববর্ষে এই পৌষে, নভোরোজঃ হিমেল বাতাস
চিত্রাপিতে চিত্রিত হোক, নব চিদাকাশ।
আজি যেন চন্দ্রোদয় নবচন্দ্রিকা
নববর্ষ নবযৌবনা, পুষ্পিত কলিকা।
অস্তাচলে অস্ত যাওয়া, শেষ বিদায়ী রবি
গোধূলিরাঙা সন্ধে, রক্তকমল রক্তকরবী।
নবারুণ প্রভাকরে, নতুন আলোয় হেরনু আমি,
নব রাঙা পুরবি।
আজ যেন হৃদজমিনে কাহার নাচন
আজ যেন না হয় কভু ছন্দপতন।
দুরপনেয় হোক কুবচন,
নতুন বর্ষের পরকলায়, এসো হে, এসো হে শান্তিধামে
দুষ্পূর সুবচন।
বৎসরারম্ভে দেখি তোমায়,
নিগূঢ় গৌরবে নবযৌবনা বরষা,
করো হে মানব পরষা।
যায় যায় দিন, পৃথিবীটা বর্ণবিহীন
সীমানার সীমান্তরেখায়, থাক শুধু ভরসা।
মনবে মানবে হোক বিভাসিত বোধোদয়,
নবোদ্যমে করো নব সূর্যোদয়।
দুঃখশোক দিলেম জলাঞ্জলি,
নববর্ষে দিলেম তোমায়, পুষ্পভরা পুষ্পিত পুষ্পাঞ্জলি।
নভোনীলে গোধূলি রাগে
মানুষে মানুষে মানবিকতা, যদি কভু জাগে।
নববর্ষে সুভাসিত বঙ্গে,
হৃদাকাশ খানিক রাঙাও, লাল-সবুজ রঙে।
পুণ্য বর্ষুক মানবজমিনে, ভুবন ভরি বরিখন্তিয়া,
বজ্রধ্বনি দাও বজ্রকঠিনে, নববর্ষে ভুবন ব্যাপিয়া।
নববর্ষে করো রসোত্তীর্ণ, অনখ নয়ন রঞ্জন।
নববর্ষে এই বিশ্বে, অনন্ত রস ঝরুক অনুক্ষণ।
আঁধার সাঁঝে গৃহে গৃহে, অগণিত ব্যথা বিরহে।
সন্ধ্যারাগে বিভাসিত হোক, প্রদীপ্ত অগ্নির অমর্ত্যলোক।
বিভাসিত হোক তপোলোক
এসো হে, এসো হে
বলদৃপ্ত কাঞ্চন আলোক।
আছে দুঃখ, আছে বিহ্বল শোক।
নববর্ষে নবোদয় অরুণ আলোক,
সরায়ে কৃষ্ণ অলক,
আসুক নব ভূলোক, আসুক তবে মঙ্গলালোক।