আবু সেলিম রেজা
প্রকৃতির গড়া বিমূর্ত কলা; অনিন্দ্য রূপে, ঠাটে-
প্রতিযোগী তারই; প্রতি পদে পদে, হাটে বাটে মাঠে ঘাটে।
আপন খেয়ালে; প্রাণ নির্যাসে-বানানো প্রতিমাখানি,
মহিমা গরিমা প্রচারে প্রকাশে হিংসুটে স্বৈরিণী-
প্রকৃতির সাথে! প্রকৃতির মতো খেয়ালি-স্বেচ্ছাচারী,
কুয়াশা-কুহেলী; রোদে মেঘে ঢাকা-রহস্যময়ী ‘নারী’!
বিধাতার সেরা মহান কীর্তি; মুখে চাঁদ-চোখে তারা,
দৃষ্টিতে ঝরে আলোর বৃষ্টি; শ্রাবণের বারিধারা-
সে-ও চোখে ঝরে; ফুল ফোটে ঝরে-কারণে ও অকারণে,
রণরঙ্গিনী; ধনুর্ভঙ্গপণ করে মহারণে-
শাণিত কৃপাণে; ধনু ছিলা টানে-ক্ষণিকের ব্যবধানে,
ঝড় থেমে গেলে শান্ত পৃথিবীÑতার মতো কাছে টানে-
শান্ত-ললিত; ধীর প্রবাহিত-সুবাসিত সমীরণে,
জননীর মতো; প্রেমিকার মতো, বন্ধুর বন্ধনে-
বাঁধে দুই হাতে। ঘর পালানোর সাধ জাগে কোন ডাকে,
নিজ ঘর পেতে; নিরালা নিভৃত-অজানা পথের বাঁকে।
পাখনা নেই তো! আঁচলেই ধরে-জগতের মতো ওম,
প্রেমিকা রূপিনী; কখনো জননী সাজতে পারঙ্গম!
ঈগলের রানি; চঞ্চু নখরে-জাগ্রত হুঁশিয়ার,
বুকের আগলে ছানারা ঘুমায়; কাড়ে সে সাধ্যি কার!
মোহিনী কামিনী নটিনী ঘরনী সেবিকা নায়িকা নারী,
চোখে জ্বলে প্রেম; আগুনের শিখা-প্রেমের ফল্গুবারি।