Thikana News
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কমিউনিটি অপ-এড: পাঠ্যক্রমে ঐতিহাসিক পরিবর্তন

কমিউনিটি অপ-এড: পাঠ্যক্রমে ঐতিহাসিক পরিবর্তন


 মেয়র এরিক অ্যাডামস নিউইয়র্কের দায়িত্ব গ্রহণের পর নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন। এ সময়ে যা করতে পেরেছেন তাতে তিনি বেশ সন্তুষ্ট। নিউইয়র্ক সিটিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার অঙ্গীকার পূরণে ভবিষ্যতে আরও দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি। 

এরিক অ্যাডামসের ভাষ্য : নিউইয়র্ক সিটিতে দেশের সর্ববৃহৎ পাবলিক স্কুল ব্যবস্থা রয়েছে। বিভিন্ন দেশ ও পরিবেশ থেকে আসা আমাদের মেধাবী ছাত্রদের শিক্ষিত করার জন্য যারা অনেক কিছু করেন সেই নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক এবং প্রশাসকদের জন্য আমরা গর্বিত। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সাফল্যের জন্য প্রস্তুত করতে চাই। তাদের আত্মবিশ্বাসের সাথে পড়তে শেখানো আমাদের সেই প্রচেষ্টার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ কারণেই আমরা আমাদের পাঠ্যক্রমে ঐতিহাসিক পরিবর্তন করছি এবং প্রমাণিত পড়া-লেখার বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন কৌশলের উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি প্রোগ্রাম ঘণঈ জবধফং চালু করছি। আমরা শিক্ষার্থীদের এমন দক্ষতা শিখিয়ে দেব যাতে তারা কঠিন পর্যায়ের শব্দগুলোর পাঠোদ্ধার করতে পারে এবং শিক্ষকরা যাতে কার্যকর নির্দেশনা দিতে পারে আমরা সেভাবে তাদের প্রশিক্ষণ দেব।
তরুণরা সঠিকভাবে পড়তে না শিখলে তাদের জীবনযাপনে সংগ্রাম করার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং তারা দারিদ্র্যের চক্রে আটকে পড়তে পারে এমনকি কারাবাসও করতে পারে। বিস্ময়কর হলেও সত্য, আমাদের কারাগারে আটক জনসংখ্যার একটি বড় অংশ অর্থাৎ ৪০ শতাংশই সঠিকভাবে পড়তে পারে না এবং ৮০ শতাংশের হাইস্কুল ডিপ্লোমা বা সমমানের ডিপ্লোমা নেই। 
পড়তে না পারাটা আমাদের ছাত্রদের দোষ নয়, আমাদের শিক্ষকদেরও দোষ নয়। এর অর্থ এই নয় যে একজন শিক্ষক তার কাজটি ভালোভাবে করছেন না অথবা একটি শিশু অলস বা তার সক্ষমতার অভাব রয়েছে। আমরা আমাদের সন্তানদের শেখানোর জন্য ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছি। এখন আমরা কোর্স পরিবর্তন করছি যাতে তরুণদের একটি উন্নত ভবিষ্যতের সুযোগ করে দিতে পারি। 
ঘণঈ জবধফং আমার জন্য ব্যক্তিগত। এমনকি এখনো আমি মেয়র হিসেবে যখন কোনো শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করি, তখন আমার শিশুজীবনের কথা মনে পড়ে যায়। আমি শিশু সময়ে ক্লাসে প্রবেশের সময় আশা ও প্রার্থনা করতাম- শিক্ষক যেন আমাকে পড়ার জন্য না ডাকেন। আমার ডিসলেক্সিয়া (পড়তে অসুবিধা) ছিল কিন্তু সেই সময়ে পরীক্ষা করে এটি নির্ণয় করা হয়নি। বরং প্রায় প্রতিদিনই আমাকে উপহাস ও অপমান করা হতো। আমাকে বলা হতো- আমি বোবা। এখন কারও ডিসলেক্সিয়া আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সকল ছাত্র-ছাত্রীকে পরীক্ষা করার পাশাপাশি আমরা তাদের একটি প্রমাণিত, বৈজ্ঞানিক ও পদ্ধতিগত পদ্ধতির মাধ্যমে পড়া-লেখা ও গণিত শেখাব- যাতে তাদের আমার মতো কষ্ট করতে না হয়।
ঘণঈ জবধফং চালু করার সাথে সাথে আমরা আমাদের পিতামাতা এবং কমিউনিটি নেতাদেরও এগিয়ে আসতে বলছি। আপনারা সন্তানের স্কুলে ওপেন হাউসে যোগ দিন, সেখানে আপনি ঘণঈ জবধফং সম্পর্কে জানতে এবং কোনো প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আপনার সন্তানদের বা আপনার তত্ত্বাবধানে থাকা বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করুন- তারা কী পড়ছে। তারা যে গল্পগুলো পড়ছে সে সম্পর্কে তারা আপনাকে বলতে পারে? যদি সম্ভব হয়- তাদের সাথে কিছু সময় কাটান, অথবা আপনার সন্তানদেরও আপনি কত সুন্দর পড়তে পারেন তা দেখতে দিন! 
শিক্ষক পড়ার জন্য ডাকেন না- এমন দিনটি একটি শিশুর সেরা দিন হওয়া উচিত নয়। শিক্ষক তাদের ডাকেন এবং তারা দাঁড়িয়ে পড়তে পারে- এমন দিনটি তাদের সেরা হওয়া উচিত। NYC Reads এটা সম্ভব করবে। 
NYC Reads সম্পর্কে আরও জানুন এখানে: https:/ww/w.schools.ûc.gov/learning/subjects/literacy

কমেন্ট বক্স