Thikana News
২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যুদ্ধাহতদের চিকিৎসায়  ডা. নাহরীন আহমেদ

যুদ্ধাহতদের চিকিৎসায়  ডা. নাহরীন আহমেদ
ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ যুদ্ধের শিকার আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থেকে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান চিকিৎসক নাহরীন আহমেদ। বর্তমানে তিনি মিশরের রাজধানী কায়রোতে অবস্থান করছেন। দু-একদিনের মধ্যে তার যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার কথা রয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। 
পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পালমোনারি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক নাহরীন আহমেদ এর আগে তার মেডিকেল টিম এবং চিকিৎসা সামগ্রীর সরবরাহ নিয়ে ইউক্রেনের লভিভ শহরে অবস্থান করেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। 
ডা. নাহরীন আহমেদ সিলেট মেডিকেল কলেজের শহীদ অধ্যাপক ডা. শামসুদ্দিন আহমেদের নাতনি এবং মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদের মেয়ে। দেশমাতৃকার জন্য তিনি তাঁর পরিবারের আত্মত্যাগে অনুপ্রাণিত বোধ করেন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান আত্মত্যাগে তিনি গর্বিত বলে জানালেন। 
নাহরীন আহমেদের গর্বিত পিতা ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ঠিকানাকে জানান, তার মেয়ে মেডগ্লোবাল নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মেডিকেল পরিচালক। সংস্থাটি দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চলে সেবা কার্যক্রম পরিচালিত করে। তিনি জানান, বর্তমান তার মেয়ে মিশরের কায়রোতে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে তিনি গাজায় ভয়াবহ যুদ্ধের শিকার আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করছেন। গাজায় ইসরাইল যেদিন হামলা করলো তার দুদিন আগেই ডা. নাহরীনের সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। সম্প্রতি গাজার চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে এমএসএনবিসি টেলিভিশনে ডা. নাহরীনের একটি সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে। 
জিয়াউদ্দিন আহমেদ জানান, এর আগে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা শুরু হলে মেডগ্লোবাল সেখানেও কার্যক্রম শুরু করে। শুরু থেকে মিয়ানমার বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের চিকিৎসাসেবা দেয়া ছাড়াও সংস্থাটি সেখানে একটি হাসপাতাল নির্মাণ করছে। 
ডা. নাহরীন আহমেদ অবসরের বেশিরভাগ সময় বাংলাদেশ, ইয়েমেন, ইথিওপিয়া, কলম্বিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যের অনগ্রসর এলাকায় চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত থাকেন। আমেরিকার বেশ কিছু পিছিয়ে পড়া জনপদে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং রোগীর যত্ন বিতরণ ব্যবস্থার উন্নতিতে ড. নাহরীন আহমেদ কাজ করে আসছেন। ড. নাহরীন আহমেদের নেতৃত্ব, নিজেকে মানবতার কাজে উৎসর্গ করা এবং সাহস দেখে আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা গর্বিত। আমেরিকায় জন্ম বাংলাদেশি প্রজন্ম ড. নাহরীন আহমেদকে আদর্শ মনে করে অনুপ্রাণিত বোধ করে। 
ঝুঁকিপূর্ণ যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় বাংলাদেশি আমেরিকান ড. নাহরীন আহমেদের কাজ নিয়ে তাঁর বাবা ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও মা ডা. ফাতেমা আহমেদ জানান, বাবা-মা হিসাবে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় থাকলেও মেয়ের কাজের জন্য তাঁরা গর্বিত। একজন বাংলাদেশি-আমেরিকান বিশ্বের চলমান সঙ্কটে সবচেয়ে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, কথাটি উচ্চারণ করলেন তাঁরা। তিন কন্যা সন্তানের মধ্যে ডা. নাহরীন আহমেদ দ্বিতীয়। 
 

কমেন্ট বক্স