নাদিরা বেগম 
সুই-সুতায় জোড়াতালি দেওয়া জীবন
তালি দিতে গেলে এদিকে টানলে ওদিকে ছিঁড়ে
খাটো কাপড় টানলে বাড়বে না কোনোকালে।
হায়রে পোড়া কপাল কী কুক্ষণে জন্মেছিলাম
কৃষ্ণপক্ষ নাকি শুক্লপক্ষ, কৃষ্ণপক্ষই হবে হয়তো
শনির দশা নাকি বৃহস্পতি
জন্ম থেকে অভাব দশাই দেখেছি।
নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার নুন আনতে পান্তা ফুরায়
মাছের বদলে জোটে ভর্তা ভাত
উপরে তাকালে চোখ ধাঁধায় নিচে তাকাতে লজ্জা পাই।
মেধা থাকলেও যাচাই করার সুযোগ নাই
চাকরির বাজারে মামা-চাচার জোর নাই
যৌতুকের টাকার জন্য বোনের বিয়ে হয় নাই
যমুনার ভালোবাসা কেঁদে কেঁদে ফিরে যায়
বৃদ্ধ বাবা-মায়ের ওষুধের জোগাড় নাই।
আমার মতো অপদার্থ সন্তান জন্ম দিয়ে
আকাশ-বাতাস ভারী হয় দীর্ঘশ্বাসে
দুঃখ বিষণ্নতা হতাশা জোড়াতালি দেওয়া
আমাদের জীবন চোখের জলে ভাসে।
                           
                           
                            
                       
     
  
 


 
                                
 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                
