রক্তাক্ত কলেবরে ক্ষতবিক্ষত দেহখানা
আহারে! কী সে বেদনার বিষ!
সর্বাঙ্গ জড়জড় নীলের বেদনায়।
রঙিন গ্লাস স্পর্শ করে আপাদমস্তক
নীমিলিত চোখে আরক্ত নেশায়
টলমল পায়ে এলোমেলো হই।
তারপরেও কি পেরেছি শিরীষে ঘষে
মুছে দিতে নিশ্চিহ্ন পরাজয়ের
ক্লেদাক্ত গ্লানি?
তারপর একদিন ক্রমশ লম্বা হবে
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘশ্বাসের নাইলনের সুতো
যেভাবে অমাবস্যা থেকে পূর্ণিমা হয়
মাইলফলকের অন্তহীন খোদাই;
অথবা শীতের বিষণ্ন বৈরী হাওয়ায়
ঝরে যাওয়া পত্রপল্লব।
হাতুড়ি শাবলের আঘাতে নির্মমভাবে
তৈরি হয়েছে অনাদি কাল-বেমিশাল বুকের ভেতর সহস্র বেদনার ক্ষত।
কল্কির টানে ধোঁয়াশার দেয়াল
বুনো হয় মন উথাল-পাথাল
নীল সুখ কি তবে একেই বলে!
নাকি সাঁইজির বাবার সিদ্ধির আসর?

নন্দিনী মুস্তাফী


