ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আকস্মিক টর্নেডোর তাণ্ডবে গাছচাপায় মারা গেছেন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ঝর্ণা বেগম (২০)। উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের হামিরদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৬ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে ঝর্ণার বাবার বাড়ি জেলার নগরকান্দা উপজেলার পোড়াইদা গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
ঝর্ণা বেগম ছোট হামিরদী গ্রামের শাহাবুদ্দিন শেখের স্ত্রী ও নগরকান্দা উপজেলার পোড়াইদা গ্রামের লোকমান শেখের মেয়ে। গত ৯ মাস আগে শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে ঝর্না বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
ঝর্ণা বেগমের দেবর শাহ আলম মোল্লা জানান, বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর ভিডিওকলে পারিবারিক নানা বিষয়ে কথা হয় তার বৃদ্ধ মা ও ভাবি ঝর্ণা বেগমের। এর কিছু সময় পর তাকে ফোনে জানানো হয়, হঠাৎ ঝড়ে তার ভাইয়ের বসতঘরের ওপর একটি গাছ উপড়ে পড়ায় তাতে চাপা পড়ে তার ভাবি মারা গেছেন।
নিহত ঝর্ণার স্বামী শাহাবুদ্দিন শেখ জানান, ঝড়ের সময় বসতঘরে ছিল ঝর্ণা। ঘরের ওপর গাছ পড়ে, তাতে চাপা পড়ে ঝর্ণা ওই সময়ই মারা যায়। সে অন্তঃসত্ত্বা ছিল। সন্তানের মুখ দেখা হলো না আমার।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন জানান, আকস্মিক টর্নেডোয় দুটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হয়। সকালে জেলা প্রশাসক স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ৪০ জনকে আর্থিক সহায়তাসহ ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল ও ১ কেজি তেল দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে ঝর্ণা বেগম নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। ওই পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে ৫ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের আরও তালিকা প্রস্তুত চলমান রয়েছে। আগামীকাল তাদের টিন ও নগদ টাকাসহ খাদ্যের সহায়তা দেওয়া হবে।
উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ভাঙ্গা বিদ্যুৎ সরবরাহ) সাইদুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ৩০টা পুল ও ৫ কিলোমিটার তারসহ প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। সচলের জন্য কাজ চলছে।
ঠিকানা/এনআই