যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, চলতি বছর রাশিয়া বা ইউক্রেন কোনো দেশই যুদ্ধক্ষেত্রে খুব বেশি অগ্রগতি লাভ করতে পারবে না। যুদ্ধ গড়াবে ২০২৪ সালে। এ অচলাবস্থা কাটাতে ইউক্রেন দেশটির রিজার্ভ এবং নিয়মিত সেনাবাহিনীর শেষ সদস্যটিকেও মাঠে নামাবে। পেন্টাগনের ফাঁস হওয়া নথির বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় ১২ এপ্রিল ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো এবং কিয়েভ উভয়ই সেনা এবং রসদে ঘাটতি থাকায় চলতি বছর যুদ্ধে কার্যকর খুব বেশি অগ্রগতি লাভ করবে না; বরং যুদ্ধ গড়াবে ২০২৪ সালে। এ বছর উভয় পক্ষই সামান্য আঞ্চলিক অগ্রগতি লাভ করবে।
পেন্টাগনের ফাঁস হওয়া নথিতে বলা হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে চলতি বছর যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে যুদ্ধ বন্ধ হোক বা চলুক, তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে ইউক্রেনেরই।
পেন্টাগনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে অচলাবস্থা ইউক্রেনকে ফুল মোবিলাইজেশনে বাধ্য করাতে পারে। এর অর্থ হলো দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রতিটি সক্ষম পুরুষকে যুদ্ধের জন্য আহ্বান জানাতে পারেন। তবে এমনটা হলে সমালোচনার শিকার হতে পারেন জেলেনস্কি। এমনকি যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই দেশটিতে ক্ষমতার পালাবদল ঘটতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক উপায়ে দেশটিতে ক্ষমতার পালাবদল ঘটবে, নাকি জেনারেলরা দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করবেন–সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি পেন্টগনের ফাঁস হওয়া নথিতে।
নথিতে মার্কিন গোয়েন্দারা সম্ভাব্য সব ধরনের ফলাফলের কথাই বিবেচনা করেছেন। যেমন, যুদ্ধে ইউক্রেন উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করলে রাশিয়া আলোচনায় বসতে বাধ্য হবে। অথবা রাশিয়া সাফল্য লাভ করলে ইউক্রেনে অবশ্যই ক্ষমতার রদবদল হবে। তবে গোয়েন্দাদের মত হলো, তেমন কিছু ঘটবে না; বরং কোনো ধরনের সাফল্য ছাড়াই অচলাবস্থা তৈরি হবে।
পেন্টাগন থেকে ফাঁস হওয়া আরেকটি নথিতে দেখা গেছে, চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ১ লাখ ৩১ হাজার সেনা হতাহত হয়েছে। এর মধ্যে নিহত হয়েছে অন্তত সাড়ে ১৭ হাজার।
ঠিকানা/এসআর