Thikana News
২৮ অক্টোবর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫


অষ্টমবারের মতো ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্ট হলেন ৯২ বছরের পল বিয়া

অষ্টমবারের মতো ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্ট হলেন ৯২ বছরের পল বিয়া ক্যামেরুনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট পল বিয়া গত ৭ অক্টোবর মারুয়ায় একটি প্রচার সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন। ছবি : এএফপি



 

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী রাষ্ট্রপ্রধান পল বিয়া (৯২) ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অষ্টমবারের মতো জয়ী হয়েছেন। আজ ২৭ অক্টোবর (সোমবার) দেশটির সাংবিধানিক কাউন্সিল নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। খবর এএফপির।

 

সাংবিধানিক কাউন্সিলের ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, পল বিয়া ৫৩.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন, যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সাবেক সরকারি মন্ত্রী ইসসা চিওমা বাকারী পেয়েছেন ৩৫.২ শতাংশ ভোট। এই ফল ঘোষণার পর থেকেই দেশটিতে প্রাণঘাতী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

 

১২ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দুদিন পর প্রতিদ্বন্দ্বী চিওমা বাকারী নিজেকে জয়ী দাবি করেন এবং বিক্ষোভের ডাক দেন।

 

ওই অঞ্চলের গভর্নরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০ অক্টোবর ২০ অক্টোবর (রবিবার) অর্থনৈতিক রাজধানী দৌয়ালায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিরোধী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। বিক্ষোভকারীরা এএফপিকে জানান, নিরাপত্তা বাহিনী প্রথমে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে এবং পরে গুলি চালায়।

 

নির্বাচনের ১৫ দিন পর ঘোষিত এই সরকারি ফলাফলে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪৬.৩ শতাংশ। অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে ক্যাব্রাল লিবী ৩.৪ শতাংশ পেয়ে তৃতীয়, বেলো বুবা মাইগারি ২.৫ শতাংশ এবং একমাত্র নারী প্রার্থী হার্মিন প্যাট্রিসিয়া তোমাইনো এনডাম জয়া ১.৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। বাকি আটজন প্রার্থীর প্রত্যেকে এক শতাংশেরও কম ভোট পেয়েছেন।

 

নির্বাচনের দিন থেকে দেশের বেশিরভাগ প্রধান শহরে জনসমাবেশ নিষিদ্ধ এবং যান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে গত সপ্তাহ থেকেই চিওমা বাকারীর সমর্থকরা তার বিজয়ের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। তিনি তার নিজস্ব গণনা উল্লেখ করে দাবি করেছিলেন যে, তিনি ৫৪.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

 

গত বুধবার চিওমা বাকারী তার বিজয়ের বিষয়ে পুনরায় দৃঢ়তা প্রকাশ করেন এবং সাংবিধানিক কাউন্সিল ‘বিকৃত ও মিথ্যা ফলাফল’ ঘোষণা করলে ক্যামেরুনবাসীকে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান।

সোমবার ভোরের প্রথম প্রহর থেকেই রাজধানী ইয়াউন্ডের প্রধান প্রধান সংযোগস্থল এবং সংবেদনশীল স্থানগুলোতে পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মোতায়েন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ‘নির্বাচনি প্রক্রিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং যেকোনো অস্থিরতা প্রতিরোধ করতে’ এই ব্যবস্থা নিয়েছে। সংঘর্ষের ভয়ে অনেক দোকান ও গ্যাস স্টেশন বন্ধ ছিল এবং যান চলাচল ছিল অস্বাভাবিক রকম কম।

 

ঠিকানা/এএস


কমেন্ট বক্স