বিচিত্র কুমার
কলমের কালি থেকে যে উড়ন্ত পাখি বের হয়
সে শুধু কেবল কোনো কবিতার উড়ন্ত পাখিই নয়;
হয়তো-বা কোনো এক কবির ভাবনার প্রতিমূর্তি,
কিংবা হতে পারে তার বাস্তব কল্পনার জীবন্ত এক পাখি।
হতে পারে সেই পাখির সাথে কবি স্বপ্নে কথা বলে
তার সাথে ইচ্ছে নদীতে সাঁতার কাটে;
মনের অজান্তেই আবেগের দেশে হারিয়ে যায়,
নদী-নালা বন-জঙ্গল সমুদ্রসৈকত পাহাড়-পর্বত পেরিয়ে;
ওই স্বপ্নপুরীর দেশে।
সে শুধু কবির কাছে স্বপ্নের সুখপাখিই নয়
হয়তো-বা তার জীবনের আরও অনেক কিছু;
যে স্বপ্নে হাতছানি দেয় আবার স্বপ্নে হারিয়ে যায়
ধূসর পাণ্ডুলিপির মতো-
কিছু স্মৃতি কিছু স্বপ্ন রেখে যায় নকশিকাঁথার মাঠে।
যা কেউ জানে না, কেউ কখনো বোঝার চেষ্টাটুকুও করে না;
কবিতা আসলে কবির কাছে শুধু কবিতাই নয়।
হয়তো-বা কোনো কবির আবেগজড়িত কিছু রোমান্টিক স্মৃতিকথা;
কিংবা কবির মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা আবেগ-অনুভূতি,
অথবা অপ্রকাশিত ভালোবাসা।