শরীরের খেয়াল রাখতে ফলের গুরুত্ব অনেক। ভেতর থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে মৌসুমি ফল খুব উপকারি। নানা ধরনের স্বাস্থ্যকর উপাদানে সমৃদ্ধ ফল শরীর সুস্থ রাখে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ওজন কমানোর চেষ্টা যারা করছেন, তাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফল রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। ফলে থাকা ফাইবার হজম ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরের মেদ জমতে দেয় না। ফলের রয়েছে বহুমুখী গুণ। ত্বকের যত্নেও ফলের ভূমিকা অন্যতম। মোট কথা শরীরের খেয়াল রাখতে ফলের বিকল্প নেই।
কাজের গতি সচল রাখতে ও শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে সকালের খাবার খাওয়া বাদ দেওয়া যাবে না। ছুটির দিনে ডিম, পরোটা, ভাজি থাকলেও বাকি দিনগুলোতে পাউরুটি, কলার মতো খাবারই থাকে। আলাদা করে তৈরি করার কোনও ঝামেলা থাকে না। কিন্তু খালি পেটে কলা খাওয়া কী স্বাস্থ্যকর?
কলার স্বাস্থ্যগুণ অনেক। হৃদযন্ত্র ভালো রাখা থেকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করাতে কলার ভূমিকা অসীম। মানসিক অবসাদে ভুগলেও প্রতিদিনের খাবারে কলা রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। কলায় কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমে। কলায় থাকা আয়রন রক্তাল্পতার মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। ট্রিপটোফ্যান, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি-র মতো একাধিক উপকারী গুণ সমৃদ্ধ এই ফল শরীরের যত্ন নেয়। কিন্তু এত কিছু গুণ থাকা সত্ত্বেও প্রশ্ন ওঠে খালি পেটে কলা খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর? কোনও সমস্যা দেখা দিতে পারে কি এ ফলে?
কলায় পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। এগুলো শরীরের জন্য নিঃসন্দেহে উপকারী। তবে খালি পেটে এই ফল খেলে কিন্তু উপকারের চেয়ে অপকার বেশি। কলায় চিনির পরিমাণও অনেক বেশি থাকে। অনেক সময় না খেয়ে থাকার পরে কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ফলে দিনের শুরুতে কলা খাওয়ার অভ্যাস ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে। কলা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। কিন্তু খালি পেটে কলা খেলে এই সমস্যা উল্টো বেড়ে যেতে পারে।
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, সকালে কলা খেতে পারেন। তবে অবশ্যই খালি পেটে নয়। অন্য কোনো কিছু না খেয়ে প্রথমেই কলা খেলে অ্যাসিড হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া খালি পেটে কলা খেলে রক্তে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়তে পারে হৃদযন্ত্রের ওপরেও। ওটস, পাউরুটি বা অন্য কোনো খাবার খাওয়ার পর কলা খেতে পারেন। তা হলে সমস্যা নেই। কিংবা কলা, ওট্স, বেরি, ম্যাপল সিরাপ, কাঠবাদাম দিয়ে একটি স্মুদিও বানিয়ে নিতে পারেন। শরীর ভেতর থেকে সুস্থ থাকবে।
ঠিকানা/এসআর