ডায়েট মেনে বা খুব নিয়ম অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়া করার সুযোগ ঘটে না অনেকেরই। তবে শরীর সুস্থ রাখতে ফিরতেই হবে নিয়মানুবর্তিতায়। আর একটু সচেতন হলে ওজন কমানোর প্রাথমিক পদক্ষেপটা সকালের চা থেকেই শুরু করতে পারেন। চায়ের মধ্যে গ্রিন টি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ও উপকারী পানীয়; এর মধ্যে রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। আর এ কারণেই এই চা এত জনপ্রিয়।
গ্রিন টি পান মস্তিষ্কের কার্যক্রম ভালো করে, শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমায়, ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এর রয়েছে আরো অনেক গুণ। তবে এসব উপকার পেতে অবশ্যই আপনাকে প্রতিদিন অন্তত এক কাপ গ্রিন টি পান করতে হবে। কিন্তু কীভাবে?
১. ওজন কমাতে চাইলে কেবল দুধ চায়ের বদলে লাল চা কিংবা ভেষজ চায়ে চুমুক দিলেই হবে না। চা খাওয়ার ক্ষেত্রেও মানতে হবে নিয়মবিধি। সাধারণ চা বাদ দিন। বরং গ্রিন টি খান। এটি মেদ ঝরাতে এমনিই সাহায্য করে। এর মধ্যে দারচিনির গুঁড়ো দিন। মেদ ঝরাতে গ্রিন টি আর দারচিনির গুঁড়োর চেয়ে ভাল কিছু আর নেই। গ্রিন টি-তে কয়েক ফোঁটা পুদিনা পাতার রস মেশান। যাঁরা গ্রিন টি পছন্দ করেন না, ওজন কমাতে এই পুদিনা পাতার রস যোগ করতে পারেন সাধারণ কালো চায়েও।
২. গ্রিন টি-র সঙ্গে মিশিয়ে নিন লেবুর রস ও আদা। দিনে বার তিনেক এই চা পান করুন। দুধ চা-কে বিদায় দিন। চেষ্টা করুন উপরের সবগুলো পদ্ধতিই চিনি ছাড়া কালো চা বা গ্রিন টি-তে প্রয়োগ করতে। সুতরাং সকালের চায়ের অভ্যাসে একটু পরিবর্তন এনেই শরীরের মেদ ঝরানোর প্রাথমিক ধাপটুকু শুরু করুন।
৩. অনেকে গ্রিন টি খেলেও সঙ্গে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত বিস্কুট কিংবা নোনতা খাবার খান। এই ভুলেই কিন্তু ওজন অনেকখানি বেড়ে যায়। এর পরিবর্তে সকালে স্বাস্থ্যকর নাস্তার সঙ্গে গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে।
৪. সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে গ্রিন টি-তে চুমুক না দেওয়াই ভাল। খালি পেটে চা খেলে হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খালি পেটে চা না খেয়ে হালকা কিছু খেয়ে তার পরেই চা খাওয়া ভাল।
৫. রাতে ঘুমোনোর বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে চা খাওয়া বন্ধ করতে হবে। চেষ্টা করুন সন্ধ্যার পর আর চা না খাওয়াই ভাল। রাতের দিকে চা খেলে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর ঘুম কম হলেই হজমের সমস্যা দেখা দেয় শরীরে। তাই মেদ ঝরাতে চাইলে সন্ধ্যার আগেই চা পান করা যেতে পারে।
ঠিকানা/এসআর