ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে একটি বহুতল আবাসিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। দগ্ধ ও আহত হয়েছেন অন্তত ৩৭ জন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে। গত ২০ বছরে দেশটিতে এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। মঙ্গলবার গভীর রাতে ১০তলা ভবনের পার্কিং ফ্লোর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পার্কিংয়ে প্রচুর মোটরবাইক ছিল।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবন মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছিল না সেখানে। হোয়া নামে এক প্রতিবেশী বলেন, `আমি অনেকের সাহায্যের ডাক শুনতে পাই। কিন্তু আমরা খুব বেশি সাহায্য করতে পারিনি। তিনি বলেন, ভবনে সবগুলো বাসা খুবই কাছাকাছি। পালিয়ে যাওয়ার সহজ রাস্তা ছিল না। বুধবার সকাল পর্যন্ত সেখানে আগুন জ্বলছিল। উদ্ধারকর্মীরা সহজে ভেতরে প্রবেশে করতে পারছিল না। আগুন ও চিকন রাস্তার কারণে তাদের প্রবেশে বেগ পেতে হচ্ছিল।
কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রায় ১৫০ মানুষ ভবনটিতে বাস করে। ভবনের ছোট ছোট বারান্দাগুলোতে লোহার গ্রিল দেওয়া। কোনো এমারজেন্সি বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তা ছিল না। ছিল না বাইরে কোনো মই। সবাইকে এক সিঁড়ি দিয়ে পালিয়ে আসতে হচ্ছিল।
হুং নামে আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, একটি ছোট শিশুকে আগুন থেকে বাঁচতে ভবন থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয়। তিনি বলেন, `সবখানেই কালো ধোঁয়া ছিল। আমি দেখলাম ছোট্ট একটি বাচ্চাকে উঁচু তলা থেকে ছুড়ে ফেলা হলো। আমি জানি না ও বেঁচে আছে কি না। তবে নিচে তাকে ধরার জন্য ম্যাট্রেস বিছিয়ে রেখেছিল মানুষজন।
ঠিকানা/এম