সুরের ধারার নিবেদনে নিউইয়র্কে মঞ্চস্থ হলো রবীন্দ্র নৃত্যনাট্য শ্যামা-প্রেম আত্মদান প্রায়শ্চিত্ত। ১১ অক্টোবর বিকেলে জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে এই নৃত্যনাট্যের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি ছিল। এ ধরনের ব্যতিক্রমী আয়োজন দর্শক শ্রোতাদের বিমোহিত করে। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তিনি এখানেই একটি সুরের ধারা তৈরি করেছেন। এরই ব্যানারে এই অনুষ্ঠান হলো।
আয়োজকেরা জানান, এটি একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন ছিল। এখানে দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দর্শকেরা এসেছেন। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও বাংলাদেশ থেকেও দর্শক ও অতিথিরা এসেছেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেট থেকেও দর্শকেরা এসেছেন।
জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারের হলের সিটসংখ্যা প্রায় ৪০০। নৃত্যনাট্য শুরু হওয়ার আগেই কানায় কানায় হল ভরে ওঠে। ফলে অনেক দর্শক টিকিট না পাওয়ায় অনুষ্ঠান দেখতে না পেরে ফেরত গেছেন। কারণ হলের ভেতরে টিকিট ছাড়া দর্শক প্রবেশ করানো হয়নি।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী শিল্পীরা ছাড়াও কলকাতা থেকে একাধিক শিল্পী এসেছেন। দর্শকেরা এ ধরনের ব্যতিক্রমী ও উন্নত মানের অনুষ্ঠান করার জন্য আয়োজকদের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল ডায়াস্পোরা ইউএসএ ইনক। সংগীতে ছিল সুরের ধারা (নিউইয়র্ক), পরিচালনায় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, নৃত্য ছন্দমুদ্রা, পরিচালনায় ছিলেন আঙ্কাশ্রী পূততুণ্ড। আবহ সংগীতে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় বাবু, সার্বিক সমন্বয়ে ছিলেন বিদিশা দেওয়ানজী। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিদিশা দেওয়ানজী ও শাহরিয়ার নবী।
নৃত্যনাট্য শ্যামা দেখতে এসে অনেকেই দেখতে পারেননি। এমন দর্শকদের জন্য আবারও একটি মঞ্চস্থ করার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে একজন আয়োজক বলেন, আমাদের পরিকল্পনা আছে। তবে এখনই দিনক্ষণ বলতে পারছি না। এটি আগামীতে নিউইয়র্কেও হতে পারে আবার নিউজার্সিতেও হতে পারে। কারণ ভেন্যু পাওয়ার পাশাপাশি শিল্পীদের শিডিউলেরও ব্যাপার রয়েছে।