ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও চলমান যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ইউরোপের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন। যুক্তরাজ্য, স্পেন, ইতালি ও পর্তুগালসহ একাধিক দেশে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
তবে লন্ডনে সিনাগগে হামলার পর পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করায় ব্যাপক ধরপাকড় করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে মিছিল থেকে অন্তত ৪৪২ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা বলা হয়েছে। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান তাদের প্রতিবেদনে এই গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৫০০ বলে জানিয়েছে।
বিক্ষোভের আয়োজকেরা পুলিশ ও সরকারের অনুরোধ অগ্রাহ্য করে যুক্তি দেন যে, বৃহস্পতিবার সিনাগগে হামলার আগেই তারা এই বিক্ষোভ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। মূলত ফিলিস্তিনপন্থি সংগঠন প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদ জানাতেই এই বিক্ষোভ ডাকা হয়েছিল।
এদিকে, ইতালি ও পর্তুগালে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয় গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’কে ইসরায়েল আটক করার পর। স্পেনের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর বার্সেলোনা ও রাজধানী মাদ্রিদেও শনিবার বড় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
গত কয়েক সপ্তাহে স্পেনে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন বেড়েছে। একই সঙ্গে দেশটি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক চাপ বাড়াচ্ছে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ গাজায় চলমান যুদ্ধকে ‘জাতিহত্যা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক সব ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলি দলের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, গাজার জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে গত শুক্রবার ইতালিতে এক দিনের সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। এই ধর্মঘটে ২০ লাখের বেশি মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বলে জানা গেছে।
ঠিকানা/এএস